শাহীন পিতা-মাতার বড় সন্তান হলেও শাহীন ও পরিবারের অন্যান সদস্যগণ শাহীনের বৃদ্ধ বাবার পরিচয়েই পরিচিতি লাভ করেছে। সংসারের যাবতীয় ব্যয়ভার শাহীনের বাবাই বহন করেন। এক কথায় সর্বক্ষেত্রে শাহীনের বাবার জী মতামতই প্রতিফলিত হয়। অপরদিকে জাহিদের মা সেলাই মেশিন চালানোর পাশাপাশি হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল পালন করে সংসার পরিচালনা করেন। মায়ের পছন্দ করা স্কুলেই জাহিদকে ভর্তি হতে হয়।
অর্ণব ও অর্ক দুই ভাই। পিতার মৃত্যুর পর পিতৃসম্পত্তি সমান দুই ভাগে ভাগ করে নেয়। কিছুদিন পর অর্ণব জমিতে গিয়ে দেখল, অর্ক অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি জমি দখলে রেখে চাষ করছে। এ ব্যাপারে অর্ণব অর্ককে বেশি জমি ছেড়ে দিতে বললে, অর্ক জমি ছাড়তে অনীহা প্রকাশ করে। অর্ণব দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদে না জড়িয়ে আইনের আশ্রয়গ্রহণ করে এবং সম্পত্তি ফিরে পায়।
শামছুল সাহেব একজন বিজ্ঞ বিচারক। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এক সময় একটি মামলা নিয়ে তিনি জটিলতায় পড়েন। একই গ্রামের দুই জন লোক একখণ্ড জমি নিজেদের বলে দাবি করে। উভয়েরই কোনো প্রকার উপযুক্ত দলিল-পত্র নেই। তিনি দেশের কোনো প্রকার আইন দ্বারা এ সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। অবশেষে তিনি বিশেষ এক পন্থা অবলম্বন করে মামলার রায় প্রদান করেন। এতে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হন।
'ক' একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি কমিটি গঠন সে দেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ঐ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে বিল আকারে গৃহীত ও কার্যকর হতে দীর্ঘ দশ মাস সময় লাগে ।
অন্যদিকে 'খ' নামক দেশের সংবিধান গড়ে উঠেছে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে লোকাচার ও প্রথার মাধ্যমে। এজন্য এ সংবিধানের ক্ষেত্রে কোনো কমিটি গঠন বা গণপরিষদ বিল উত্থাপনের প্রয়োজন হয়নি।
'ক' একটি দেশের সরকারপ্রধান। তাকে কেন্দ্র করে দেশের সকল শাসনকার্য পরিচালিত হয়। তিনি হলেন সেই দেশের একটি দলের নেতা। অপরদিকে এই সরকারের পুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত '' ''-এর পরামর্শক্রমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান করেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির দন্ড মওকুফ করতে পারেন।
শিক্ষক “নবম শ্রেণির" ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনের জন্য নাম চাইলে, সাকিব ও দিব্য দুই বন্ধু নাম দেন। শিক্ষক দুই জনের মধ্যে অধিক যোগ্যকে বাছাই করার জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করেন। অবশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সাকিব ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়। একই দিনে শিক্ষক ‘দশম শ্রেণির ক্যাপ্টেন নির্বাচনের জন্য নাম চাইলে, শাম্মী ও নাজমা দুই বান্ধবী নাম দেয়। শিক্ষক একে একে প্রার্থীর নাম উচ্চারণ করলে ছাত্র-ছাত্রী হ্যাঁ এবং না ধ্বনির মাধ্যমে হাত তুলে তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানায়। অবশেষে অধিক সমর্থন অর্জনকারী নাজমা ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়।
দৃশ্যকল্প-১ : সীমার শ্বশুরবাড়ির সবাই শিক্ষিত। সীমা পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই সীমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যার ফলে সীমা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দৃশ্যকল্প-২ : মিনা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তার বাবা নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা অবস্থায় তাকে বিয়ে দিয়ে দেন। পাত্র পক্ষের যৌতুকের দাবি মিনার বাবা পূরণ করতে না পারায় মিনা বাবার বাড়িতে চলে আসে।
জাহাঙ্গীর সাহেব একটি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। এক সময় সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সংগঠনের সদস্যগণ আলাদা আলাদা সংগঠন গড়ে তোলেন । জাহাঙ্গীর সাহেব সদস্যদের মধ্যে ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নতুন একটি সংস্থা গঠন করেন। সংস্থাটির লক্ষ্য স্থির হয় সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় করা এবং তাদের অগ্রগতি সাধন করা ।