পঞ্চগড়ের সফিকুলের নাম দেশবাসীর মুখে মুখে। কারণ এধার ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। অথচ কখনও দুবেলা দুমুঠো পেট ভরে খাবার পায়নি। এক কাপড়ে কেটেছে, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে গাদাগাদি করে জরাজীর্ণ ঘরে রাত কাটাতো। অবশ্য পরিবারটি "দশ টাকা কেজি চাল” কর্মসূচির আওতায় ছিল। আর এর মধ্যেই স্বপ্ন দেখতো সে ডাক্তার হবে, অসুস্থ মাকে সুস্থ করে তুলবে, সাথে সাথে গ্রামবাসীকে সেবা করবে
সাভারে একটি গার্মেন্টসে মালিক ও শ্রমিক দ্বন্দ্বের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিম্ন শ্রেণির কর্মচারিদের ছাঁটাই করে মালিক নতুন করে কারখানা শুরু করতে চাইলে তারা প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু করে। উচ্চবিত্ত কর্মকর্তাদের সমস্যা না হলেও নিম্ন শ্রেণির কর্মীদের পথে বসাতে হয়। এদের সমস্যা সমাধান ও উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার জন্য তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন উপলব্ধি করে।
রাজিব একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরির চেষ্টা করছেন। তবে প্রচলিত মজুরি কাঠামোতে চাকরি করতে ইচ্ছুক থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পেতে অসমর্থ হন। অন্যদিকে পুঁজি না থাকায় তার পক্ষে ব্যবসা করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই বর্তমানে তিনি অনেকাংশে হতাশাগ্রস্ত।
শিল্প বিপ্লবের পর স্বামী-স্ত্রী কর্মব্যস্ততার কারণে পারিবারিক বন্ধন অনেক শিথিল হয়ে পড়ছে। শিশুদের বাবা-মা একদম সময় দিতে পারে না বলে, তাদের শিশুদের অসংযত আচরণ, কুপ্রবৃত্তি ও অমানবিক আচরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল শিশুরা টিভির ধর্মীয় বা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান দেখতে পছন্দ করে না, বরং তারা বিদেশী চ্যানেল, ফেসবুক, ইন্টারনেট, মোবাইল ও চ্যাট করতে পছন্দ করে। বাবা-মার অনুপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণেই কিশোর অপরাধ ও কিশোর মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে।
অস্ট্রেলিয়ায় সমাজকর্ম পেশা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ বছর স্নাতক ও ২ বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। এই কোর্সগুলো অধ্যয়ন শেষে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের বাস্তবক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে কমপক্ষে ২টি কর্মক্ষেত্রে ১৮০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। কর্মক্ষেত্র হিসাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমষ্টি, আদিবাসী, নারী-পুরুষ, প্রবীণ হতে পারে। তাদের সমস্যা চিহ্নিত, সমস্যা সমাধানের জন্য | পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, তদারকি, পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও সমাপ্তি করে প্রতিবেদন প্রদান করতে হয়। তার উপর ভিত্তি করেই তাকে সমাজকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।
আই এস নামক একটি উগ্র মৌলবাদি সংগঠন বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী ও শিশুদের উঠিয়ে নিয়ে যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার কাউকে কাউকে মুক্তিপণ বা মানবধর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে। আর্তমানবতার অবদানকারী একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির নীতি হলো মানবতা, নিরপেক্ষতা, পক্ষপাতহীনতা। সারা বিশ্বেই জরুরি ত্রাণ সাহায্য, স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হাজির হয় নিঃস্বার্থভাবে।
গ্রাম থেকে মানুষ ক্রমাগত শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শহরের চাকচিক্য জীবনযাপন প্রণালী, সুযোগ-সুবিধা আকর্ষণ করে। কিন্তু এই শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমাতে না পারলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। এমনিতে বস্তির নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন জীবিকার জন্য নিরক্ষর জনগোষ্ঠী অপরাধ ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।
নিরপরাধ রাসেদ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে আজ পঙ্গু। বিচারের জন্য ধারে ধারে ঘুরছে মা। “মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে রাসেদ”। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এমন একটি সংবাদ দেখে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান স্বপ্রণোদিত হয়ে কেসটি গ্রহণ করে। রাসেদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে। আটকের স্থান পরিদর্শনসহ তথ্য সংগ্রহ করে জেলখানায় রাসেদের সাথে সাক্ষাৎ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথা বলেছে এবং মামলা পরিচালনা করে অবশেষে রাসেদ মুক্তি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে চেয়ারম্যানসহ ছয়জন সদস্য রয়েছেন ২০১০ সালের ২২ শে জুন প্রতিষ্ঠানটি পুনর্গঠিত হয়।
উচ্চ শিক্ষিত বিধান একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার এ প্রতিষ্ঠান থেকে মূলত সুদে, অসহায়, নারী, ভূমিধান এবং প্রায় ভূমিহীনদের বিনা জামানতে ঋণ দেয়া হয়। দলীয় ভিত্তিতে এ ঋণ দেয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু ঋণ দেয়াই হয় না, বরণ্য ঋণের ব্যবহার তদারকি করে তা সঠিকভাবে আদায়ও করা হয়। ঋণ গ্রহীতারা কেবল এর সদস্য নয় বরং মালিকও।
জামাল সন্দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু সুউচ্চ চার-তলা বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে অবাক হয়। অনুসন্ধানে সে জানতে পারে এসব | ইমারত দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ বাম্পার স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাইকিং করলে দুর্গত এলাকার জনগণ ঐ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করে। সংস্থাটি প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে অন্ন, বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।