রমজান আলী অলস প্রকৃতির লোক। তার স্ত্রী মরিয়ম ছয় জন ছেলেমেয়ে নিয়ে। অভাব-অনটনে হিমশিম খাচ্ছে। উপায় না দেখে ১৩ বছর বয়সী হালিমাকে জোর করে বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে দেয়। রমজান আলী সংসারের বোঝা না টেনে অন্য এলাকায় গিয়ে আবার একটি বিয়ে করে। অপরদিকে, আলতাফ মিয়া ফল ব্যবসায়ী। সে ফরমালিনযুক্ত ফল বিক্রি করে বলে সবাই তার নিকট ফল কিনতে আসে। শুধু তাই নয়, সে অন্যদেরকেও ফরমালিনযুক্ত ফল বিক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করে।
শিপন শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও বেকার থাকার কারণে গ্রামে বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করেন। বেশ কয়েক বছর পর অনেক চেষ্টা করে তার একটি চাকরি হয়। চাকরির সুবাদে তিনি শহরে থাকেন এবং বিয়ে করে স্ত্রীসহ সেখানে বসবাস করেন। অন্যদিকে রিপন তার বাবা, মা, দাদি, স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামে বাস করেন। তিনি গ্রামের একটি ইটের ভাটায় কাজ করেন। তাছাড়া বাড়িতে নিজের পুকুরে মাছের চাষও করেন। রিপন ও তার স্ত্রী তাদের সন্তানকে শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে গ্রামের একটি স্কুলে ভর্তি করে দেন। রিপনের স্ত্রী প্রতিদিন তার সন্তানকে সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যান এবং স্কুল ছুটির পর সন্তানকে সঙ্গে করে বাড়ি ফেরেন।
দৃশ্যকল্প-১ : বকুলের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। বকুলের চাচা ব্যবসায় করে সমৃদ্ধশীল। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তিও। বকুলের বাবার উপর প্রভাব খাটিয়ে তার সম্পত্তি ফাঁকি দিয়ে সে নিজের নামে করে নেয়।
দৃশ্যকল্প-২ : সালমা রাস্তার মাটি কাটার কাজ করে। কাজ শেষে টাকা নিতে গিয়ে সে খেয়াল করল, তাকে তার পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় কম পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। এতে সালমা অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে।
আরমান 'ক' রাষ্ট্রের নাগরিক। আয়তনে ছোট হওয়ায় রাষ্ট্রের সকল প্রশাসনিক কাজ এক জায়গা থেকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উক্ত দেশটি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে জনি 'খ' রাষ্ট্রের নাগরিক। উক্ত রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা দুই বেশি। তাই রাষ্ট্রকে প্রশাসনিক সুবিধার্থে ছোট ছোট অঙ্গরাজ্যে ভাগ করা হয়েছে। ফলে দেশটির সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে দেশটির সরকার ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
'A' এলাকার শিক্ষিত যুব সম্প্রদায় 'উদয়ন' নামে একটি সমিতি গঠন করেন। সমিতির সকল সদস্য আলোচনার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে নিয়মকানুন পুস্তক আকারে রচনা করেন। উক্ত পুস্তকে উল্লেখ থাকে যে, কোনো নিয়ম সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হলে সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতি লাগবে। অপরদিকে 'B' এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে 'প্রত্যাশা' নামের একটি সংগঠন গড়ে ওঠে। উক্ত সংগঠনটির নিয়মনীতি লিখিত। সহজে পরিবর্তন করা যায় না এবং এলাকার জনগণের মৌলিক অধিকার প্রাধান্য রয়েছে ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
জনাব শফিক সাহেব '' সংস্থার সভাপতি। তিনি পদমর্যাদায় সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত আছেন। কিন্তু তার পুত্র ফাহিম উক্ত সংস্থার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ফাহিম তার কাজের সুবিধার্থে লোক নিয়োগ করেন। ফাহিমের অধীনস্থ সদস্যরা তার নির্দেশমতো কাজ করলেও মাঝে মাঝে কোনো বিষয় সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিলে তিনি মতামত দেন। ফাহিম তার বাবার পরামর্শে সংঘটি সুনিপুণভাবে পরিচালনা করেন।
সুমন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক। উত্ত দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। সুমন যে দেশে বাস করে সেই দেশে ছোটবড় অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে। 'ক' তার মধ্যে অন্যতম। সংগঠনগুলোর অন্যতম কাজ হচ্ছে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থী নির্বাচনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা। সংগঠনগুলো দেশের গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে পুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর কর্মসূচি জনগণের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করে।
রাইমা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সামাজিক পারিপার্শ্বিকতার কথা বিবেচনা করে তার বাবা তাকে বিয়ে দিয়ে দেন। অপরদিকে, সালমা ও সালেহা তার সহপাঠী। সালমার লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলেও তার বাবা-মা তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে তাই তার স্বামীর কথামত তাকে চলতে হয়। সালেহা লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করেন। চাকরিজীবী ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়। তথাপি পুত্র সন্তান না হওয়ার কারণে সালেহার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দায়ী করেন।
জনাব 'X' ‘Y’ এলাকার প্রভাবশালী চেয়ারম্যান। ঐ এলাকার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের অত্যাচার ও শোষণ সহ্য করে আসছিল। জনগণের সেবার পরিবর্তে তিনি তাদের নির্যাতন করতেন। এরই প্রেক্ষিতে ঐ এলাকার বিক্ষুদ জনগণ তার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন এবং সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের প্রিয় নেতা জনাব 'Y' কে জনাব 'X' এর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দাঁড় করান। নির্বাচনে জনাব 'Y' বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। পরাজিত চেয়ারম্যান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করার জন্য নানা অজুহাত ও ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
' Y' ও 'Z' রাষ্ট্রের অবস্থান পাশাপাশি। দীর্ঘদিন ধরে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছিল। বেশ কয়েকবার দু'দেশের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। উক্ত বিবাদ মেটানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান শাখা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং মধ্যস্থতার নেয়। বিশ্ববাসীর শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষাই এই সংস্থার প্রধান ও মুখ্য উদ্দেশ্য। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে উক্ত সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা করে।