জাবিদ, জহির ও খালিদ তিন বন্ধু একই স্কুলে একই শ্রেণিতে পড়ে এবং একসাথে ফুলে যায়। জাবিদের মাঝেমধ্যে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট হয়। পা অবশ হয়ে আসে। পথ চলতে গিয়ে কখনো কখনো বসে পড়ে সে। জহির ও খালিদ তাকে সঙ্গ দেয়। এতে তাদের মাঝেমধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। জাতিদের মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, ছোটবেলায় তার ভীষণ অসুখ হওয়ার পর থেকে তার এ সমস্যাটি দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে জামিল স্যার জাবিদকে সহযোগিতার জন্য খালিদ ও জহিরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ।
রাকিব স্যার ক্লাসে পাঠদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে উৎসাহিত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনস্ক, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার এবং আবৃত্তি ও বিতর্কসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের তাগিদ দেন। তাঁর উৎসাহে নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা এ বছর "বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র' আয়োজিত বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
(i) "তরুতলে বসি পান্থ শ্রান্তি করে দূর
ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর।
বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙ্গে লয়,
তরু তবু অকাতর, কিছু নাহি কয়।
(ii) নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান
কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্নদান,
স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত
বংশী করে নিজ সুরে অপরে মোহিত,
শস্য জন্মাইয়া নাহি খায় জলধরে
সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত তরে।
তাওসীফ চৌধুরী পেশায় ডাক্তার। ডাক্তারি পাস করে প্রথমেই নিজ গ্রামে নিয়োগ পেয়ে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন। অতুলনীয় মেধা আর সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে বিনা ফি-তে কিংবা নামমাত্র ফি-তে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের প্রিয় মানুষে পরিণত হন তিনি। পেশাগত উৎকর্ষের জন্য গত বছর তিনি আমেরিকায় গেলেও নিজ দেশের কথা, গবির অসহায় রোগীদের কথা ভুলতে পারেন না। ডা. তাওসীফ চৌধুরী। অন্যদিকে তাঁরই বন্ধু ইশমাম চৌধুরী পড়াশুনা শেষ করে সপরিবার লন্ডনে বসবাস করছেন। তিনি অনেক বিত্তবৈভবের মালিক। এতদসত্ত্বেও দেশে ফেরা কিংবা এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা চিন্তাও করেন না তিনি ।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি'- শীর্ষক ডকুমেন্টারি ও প্রতিবেদন তৈরির কাজে নিয়োজিত কুসুমপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত লোমহর্ষক ঘটনাবলি, তাঁদের আবেগঘন মুহূর্তের বিবরণ শুনে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতার চেতনায় নতুনভাবে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হয়। সাক্ষাৎকার পূর্বে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল আমাদের মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার মূল অনুপ্রেরণা।