শত শত চোখ আকাশটা দেখে,
শত শত শত মানুষের দল।
যশোর রোডের দু'ধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।
কাদামাটি মাখা মানুষের দল গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,
আকাশে বসত মরা ঈশ্বর
নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে?
ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে,
যুদ্ধে ছিন্ন ঘর-বাড়ি দেশ।
(সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড- অ্যালেন গিন্সবার্গ এর বাংলা অনুবাদ)
মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য :
আমাদের পাশের গ্রামে একটি বাড়িতে আক্রমণ চালায় মিলিটারিরা। ফলে এক শিশু ও এক নারী। নিহত হয়। এই ঘটনার পরেই আমরা চলে যাই আমার বাবার বাড়ি সেকুপুরে। সেখানে বড় নদী থাকায়, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করতে পারেনি। সেনারা নদীর পাড় থেকে গুলি চালায়। কিছু বাঙালি বুদ্ধি করে তাদের নৌকায় করে নিয়ে রওয়ানা হলো গ্রাম আক্রমণ করার জন্য। নৌকা মাঝ নদীতে আসার সাথে সাথে তারা নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়। ফলে মারা যায় কিছুসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা।
(বর্ণনাকারী : মোছা আলেয়া বেগম, নেত্রকোনা)
ঝাপটা খুলে মজিদ দেখল লাল কাপড়ে আবৃত কবরের পাশে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে পড়ে আছে জমিলা, চোখ বোজা, বুকে কাপড় নাই ।... আর মেহেদি দেয়া তার একটা পা কবরের গায়ের সঙ্গে লেগে আছে। পায়ের দুঃসাহস দেখে মজিদ মোটেই রুদ্ধ হয় না; এমনকি তার মুখের একটি পেশিও স্থানান্তরিত হয় না। সে নত হয়ে ধীরে ধীরে দড়িটা খোলে, তারপর তাকে পাঁজাকোল করে ভেতরে নিয়ে আসে।
(লালসালু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ)