দৃশ্যকল্প-১ : রহিম সাহেব একজন ডাক্তার। তিনি মা-বাবা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে একটি উপজেলা শহরে বাস করেন। তিনি বাসায় বাচ্চাদের পড়াশুনায় সাহায্য করেন । বাচ্চাদেরকে আদব-কায়দা ও সদগুণাবলি শিক্ষা দেন।
দৃশ্যকল্প-২ : করিম সাহেব একটি ব্যাংকে কর্মরত। তিনি স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ঢাকা শহরে বাস করেন। পরিবারের প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা তিনি উপার্জন করেন ও পরিবারের পিছনে ব্যয় করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে তিনি পরিবারের অন্য কোনো কাজ করেন না।
সানজান মোস্তফা একজন বাংলাদেশি ছাত্র। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি কানাডায় যান এবং সেখানেই সে দেশের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। গত পনের বৎসর ধরে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। ও ফাইয়াজ নামে তাদের দুই ছেলে জন্ম নেয় এবং সেখানে লেখাপড়া করছে। বর্তমানে সানজান সাহেব কানাডার অধিবাসী হলেও তিনি তার ছেলেদের বিদেশি রীতিনীতিতে বড় হতে দেননি। আদব-কায়দা, সততা, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিক্ষা দিয়েছেন। প্রতিবার নির্বাচনের সময় পরিবার নিয়ে দেশে আসেন। ভোট দেন, ছেলেদের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য জানান।
২০১৫ সালের ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সুদের কারবারি মজিদ। সে সম্পূর্ণ নিরক্ষর, তবে প্রচুর অর্থের মালিক। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা সে করতে পারে না। তার নামে আদালতে অনেকগুলো অপরাধের মামলা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে সে কায়দা করে সব মিটিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনি প্রচারণায় সে ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাত-পা ধরে কেঁদে কেঁদে ভোট চেয়েছে এবং ভোটারদের হাতে পাঁচশ করে টাকা ধরিয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো মজিদ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।
কুতুবপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক 'মিতালী' নামে একটি সংস্থা গঠন করে। সংস্থাটি পরিচালনার জন্য তারা কিছু নিয়মনীতি লিপিবদ্ধ করে। সবাই এ নিয়মনীতি মেনে চলে। প্রয়োজনে তারা এ নিয়মনীতি পরিবর্তন করে। অপরদিকে আলমপুরে গ্রামের যুবকরা 'বন্ধন' নামে একটি সংস্থা গঠন করে। তারা সংগঠনটি পরিচালনার নিয়মনীতি মেনে চলে তবে তা কোথাও লিখিত আকারে নেই।
দৃশ্যপট-১ : শাহজাদপুর উপজেলার পাশাপাশি ৮টি গ্রাম মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। তারা গ্রামগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালায় ।
দৃশ্যপট-২ মি. আমর মুসা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মহাসচিব। সদস্য দেশগুলোর শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি কাজ করে। সদস্য সবগুলো দেশের মর্যাদা সমান নয়। কিছু কিছু দেশ সংস্থাটিতে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।
করিমের সাথে রহিমার বিয়ে হয়েছে মাস তিনেক আগে। তার চাকরিজীবী পিতা মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ের শর্ত অনুযায়ী করিমকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে আর্থিক অনটনের কারণে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন। রহিমার শ্বশুর-শাশুড়ি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তাই তারা রহিমাকে নির্যাতন করতে শুরু করে কিছুদিন পর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। রহিমার মা-বাবা এই নির্যাতন মুখ বুজে মেনে না নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
আজাদ সাহেব সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি তার কাজের জন্য কেন্দ্রের নিকট দায়ী থাকেন। অপরদিকে ফজল সাহেবও একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। কেন্দ্র থেকে আসা সকল আদেশ-নিষেধ তিনি বাস্তবায়ন করেন। আজাদ সাহেব ফজল সাহেবের কাজ তদারক করেন। আজাদ সাহেব ফজল সাহেবের কাজ তদারক করলেও ফজল সাহেবই হলেন তার জেলার মূলস্তম্ভ।
দৃশ্য-১ : আজহার সাহেব ও সালমান সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের কর্মীবাহিনী দুই প্রার্থীর হয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। প্রচারণার এক পর্যায়ে আজহার সাহেবের কর্মীরা সালমান সাহেবের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। সালমান সাহেব একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের নিকট এর প্রতিকার দাবি করেন। ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ আজহার সাহেবকে ডেকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন।
দৃশ্য-২ : আবীর সাহেব 'ক' নামক দলের হয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি সংসদ নির্বাচিত হন এবং তার দল সংসদে লাভ করে। রাষ্ট্রপতি তার দলের প্রধানকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।
দৃশ্যপট-১ : আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া নিরাপদ অঞ্চল তৈরির কথা বলে উপান্ডা আক্রমণ করে। আফ্রিকার অন্যান্য দেশ তানজানিয়ার এ পদক্ষেপের নিন্দা জানায় ।
দৃশ্যপট-২ : হাসান গরিব ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও নিজের মেধা ও যোগ্যতার বলে বর্তমানে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার প্রতিষ্ঠানে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে ।
জনাব মোহাম্মদ আবুল বাশার একটি বড় শহর 'ক' এর নির্বাচিত প্রধান প্রতিনিধি। তিনি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার মর্যাদা একজন প্রতিমন্ত্রীর সমান। বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কেন্দ্রীয় প্রশাসনের বিভিন্ন সেবা এলাকার জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়। স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।