শিমলা নবম শ্রেণির একজন ছাত্রী। তার একটি পাঠ্যপুস্তকে নাগরিকের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সে বইটি পড়ে সামাজিক মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা, সাম্য, সংবিধান ও রাষ্ট্র প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে। বিষয়টি অধ্যয়নের পর তার মধ্যে নাগরিক দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য সম্পর্কে সিচেতনতাবোধ জেগে ওঠে। সে বুঝতে পারে কীভাবে নাগরিক সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব।
মহসিন দম্পতি দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের সন্তান রানা ও রুমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। ব্যস্ততার মাঝেও নিজ সন্তানদের লেখাপড়ার প্রতি তারা খুবই দায়িত্বশীল ও যত্নবান। সন্তানদের শারীরিক বর্ধন ও মানসিক বিকাশের সার্বিক যত্ন নিজেরাই করেন। রানা ও রুমা ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে। সন্তানদের আচরণে মহসিন দম্পতি সন্তুষ্ট।
শুভনীয় ক্লাবের সদস্যদের পরোক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়। সভাপতির কার্যকাল পাঁচ বছর। ৩৫ বছর বয়স হলেই উক্ত ক্লাবের সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা যাবে না। অপরদিকে, জনাব আনোয়ার হোসেন উক্ত ক্লাবের নির্বাহী পদে কর্মরত। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। ২৫ বছর বয়স হলেই যেকোনো সদস্য উক্ত পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।
রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি অংশ থাকে। একটি রাজনৈতিক এবং অপরটি অরাজনৈতিক। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক অংশের প্রতিনিধিত্ব করে মন্ত্রীবৃন্দ। অরাজনৈতিক অংশে স্থায়িভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ । জনাব আসিফ সরকার দলীয় সংসদ এবং মাননীয় মন্ত্রী। তিনি তার কাজের জন্য সবসময় জেলার প্রধান নির্বাহী 'গ'-এর সাথে যোগাযোগ করেন।
ফারুক সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার স্ত্রী শারমিন একজন উচ্চ শিক্ষিত গৃহিণী। এক ছেলে রায়হান ও এক মেয়ে মায়মুনাকে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। রায়হানের বয়স আট ও মায়মুনার বয়স ছয়। চাকরির ব্যস্ততার কারণে ফারুক সাহেব ছেলেমেয়েদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতে না পারলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান। রায়হান ও মায়মুনাকে স্কুলে আনা-নেওয়াসহ লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব শারমিনই সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করে থাকেন।
দৃশ্যকল্প-১ : সুবা পরিবারের ছোট সন্তান । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পূর্বেই পরিবারের অন্যদেরকে লেখাপড়া করতে দেখে নিজেও খাতা, পেন্সিল নিয়ে লেখার চেষ্টা করে। বড়দের মার্জিত আচরণ দেখে সেও তা অনুকরণ করে।
দৃশ্যকল্প-২ : শোভা ও সীমা দুই বান্ধবী নবম শ্রেণিতে পড়ে। শোভার বাবা ও ভাইয়ের আয়ের টাকায় পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হয়। অন্যদিকে, সীমা বড় ভাইয়ের নিকট থেকে পড়াশোনা করে। ছুটির দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাইয়ের সাথে আলোচনা করে।