রানার বাবা গত বছর রানাকে এক ধরনের কাপড়ের তৈরি শার্ট কিনে দেন যার তন্তুগুলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নলের মতো দেখায়। এ বছর শীতে পরিধানের জন্য তার মা একটি সোয়েটার কিনে দেন যার তন্তুর মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকে এবং কুন প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। তার জন্মদিনে মামা উপহার হিসেবে একটি পাঞ্জাবী কিনে দেন যার তন্তুগুলো এক প্রজাতির পোকার গুটি হতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় আহরণ করা হয়।
স্বপ্না কয়েক বছর পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। সে যখন তার ভাইয়ের দুই বছরের ছেলেকে লক্ষ্য করে তখন দেখতে পায় তার চোখের পাতা ফোলা, জিহ্বা লম্বা। তার কাছে ছেলেটিকে স্বাভাবিক মনে হলো না। পরবর্তী দিন গ্রামে ঘুরতে বেরিয়ে চাচার বাড়ি গেল। চাচীকে সে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলছেন, চাচীর লোহিত রক্তকণিকাগুলো কাস্তের মতো আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে, চাচার মানসিক ভারসাম্য নেই। স্বপ্না চিন্তা করলো, চাচার বয়স মাত্র ৪৭ বছর ।
রহমান স্যার ক্লাসে রক্তসংবহনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, আমাদের দেহে বুকের মাঝখানে একটু বামদিকে একটি পাম্পের মতো অঙ্গ রয়েছে যা সমস্ত দেহে রক্ত সঞ্চালন করে। তিনি আরও বললেন, কোনো কোনো রক্তবাহিকা পাম্পের মতো অঙ্গ থেকে সমস্ত দেহে, আবার কোনো কোনো রক্তবাহিকা সমস্ত দেহ হতে উক্ত অঙ্গে রক্ত পরিবহন করে।
প্রজ্ঞা গাড়িতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাদের গাড়িটি সিএনজি পাম্প স্টেশনে এক ধরনের জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামে। তাদের বাসায় রান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত উপকরণের সঙ্গে সে এর মিল খুঁজে পেল। সে যাওয়ার পথে বাস থেকেই লক্ষ করলো একজন লোক দা, বটি তৈরির জন্য কালো বর্ণের আর এক ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করছে।
মামুনের বাবা দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছে। গ্রাম থেকে তার চাচা ও চাচী ঢাকায় চিকিৎসার জন্য তাদের বাসায় আসে। মামুনের চাচাও ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তার চাচীর অন্ত্রে ঘা। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বাবাকে এক ধরনের চিকিৎসা দিলেন যেখানে এক্সরে ব্যবহার করে আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করা হয়। চাচাকেও অন্য একটি চিকিৎসা দিলেন যাতে রাসায়নিক ঔষধ ব্যবহার করে বিভাজনরত কোষ ধ্বংস করা হয়। তার চাচীকে ডাক্তার এমন একটি পরীক্ষা করতে বলেন যাতে দুটি স্বচ্ছ নলের মধ্যে একটিতে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হয় ৷