হাফিজ সাহেবের বিয়ের বয়স প্রায় দশ বছর। বহু ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়েও তিনি বাবা হতে পারেননি। তার বন্ধুর পরামর্শে হাফিজ সাহেব ও তার স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্রূণ তৈরি করে স্ত্রীর জরায়ুতে স্থাপন করেন। অন্যদিকে হাফিজ সাহেবের ভাইয়ের মেয়েকে তার বাবা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সে বিয়ে দেন। এতে মেয়েটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে।
জারিনদের নদীর পাড়ে অনেক ফসলী জমি ছিল যা থেকে তারা প্রচুর ফসল পেত। কিন্তু বর্তমানে সে জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা শহরে চলে আসে। পরবর্তীতে শহরের একটি স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে স্যার একটি ভিডিও দেখালেন যেখানে প্রচণ্ড বেগে বাতাস সাপের কুণ্ডলীর মতো ঘুরপাক খেতে খেতে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ছে। অন্য একটি ভিডিওতে · সমুদ্রের তলদেশের প্লেট একটির সাথে আর একটির সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রের ঢেউ অনেক উঁচু হয়ে প্রচণ্ড বেগে উপকূলে আঘাত হানে।
হাসিব সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হলে ডাক্তার তাকে একটি পরীক্ষা করতে বললেন যেখানে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করা হয়। এ খবর শোনামাত্র তার বাবা বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন যিনি একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী। তার মা খবর শুনে মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে একটি পরীক্ষা করানো হলো যাতে এক্সরের মাধ্যমে রক্তনালিগুলো দেখা যায়। মাকেও অন্য একটি পরীক্ষা করানো হলো যাতে হৃৎপিণ্ডে ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সংকেত শনাক্ত করা যায় ।
রওনক কয়েক বছর পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। সে যখন তার দুই বছরের ভাইয়ের ছেলেকে লক্ষ্য করে তখন দেখতে পায় তার চোখের পাতা ফোলা, জিহ্বা লম্বা। তার কাছে ছেলেটিকে স্বাভাবিক মনে হলো না। পরবর্তী দিন গ্রামে ঘুরতে বেরিয়ে চাচার বাড়ি গেল। চাচীকে সে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেছেন, চাচীর লোহিত রক্তকণিকাগুলো কাস্তের মতো আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে চাচারও মানসিক ভারসাম্য নেই। রওনক চিন্তা করলো, চাচার বয়স মাত্র ৪৬ বছর ।