জাতির জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতো দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্ধ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা- ফ্যাসাদ প্রভৃতি কন্দর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্যশিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ, অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেকদিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। জীবনে শ্রী ফোটাতে হলে দ্বিতীয় দিকটির সাধনা প্রয়োজন।