জনাব রশিদ কুষ্টিয়ার একজন চাল ব্যবসায়ী। তিনি চাল আমদানি করে বাছাই করেন এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিজস্ব গুদামে সংরক্ষণ করেন। তার গুদামে বর্তমানে ২ হাজার মে.টন চাল মজুদ আছে। কিন্তু বাজারে চালের দাম কমে যাওয়াতে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে তিনি গুদামের চাল প্যাকেটজাত করে মধ্যপ্রাচ্যে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেন ।
বিদেশফেরত মি. মুরাদ ১০০ জন নারী কর্মী নিয়ে এলাকায় একটি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন। প্রথমে তার পণ্যের চাহিদা ভালো থাকলেও বর্তমানে তিনি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছেন না। এ সমস্যা উত্তরণে দরকার শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে স্থানীয় ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে তিনি খুশি।
জনাব বাবুল একজন স্বাধীনচেতা শিক্ষিত যুবক। সে যথেষ্ট উদ্যমী, পরিশ্রমী এবং অধ্যবসায়ী। বি. কম পাস করার পর সে চাকরির পেছনে না ঘুরে দুর্গাপুরের কাজীপাড়ায় একটি ফাস্টফুডের দোকান দেয়। তার দোকানে পণ্যের মান ভালো হওয়ার ক্রেতারা খুশি। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে ভোক্তারা দোকানে আসায় আগে তুলনায় বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। ফলে জনাব, বাবুল আরও একটি ফাস্টফুডের দোকানের কথা ভাবছে ।
মিসেস উর্মি পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে খুবই সাবধান থাকেন। বাংলাদেশী কোনো পণ্য কিনতে গেলে তিনি দেখেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কি না। বিশেষ করে খাদ্য ও প্রসাধন সামগ্রীর বেলায় এটা থাকতেই হবে। ব্র্যান্ড পণ্য ক্রয়ের প্রতি তার আগ্রহ। তিনি মনে করেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এটা মেনে চলা হয়। এক্ষেত্রে নকলের সম্ভাবনা কম।
তিথি ছোটবেলা থেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে চায়। তাই তিনি লেখাপড়া শেষ করে ‘ক' নামক স্থানে 'তিথি গার্মেন্টস নামে একটি রপ্তানিমুখী কারখানা স্থাপন করেন। এজন্য তিনি ‘খ' নামক NGO প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিয়েছেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম দিন দিন বাড়ছে।