রাসেল স্থানীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ শেষে মাত্র ৩০,০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। তার সংগৃহীত উন্নত জাতের তেলাপিয়া মাছের পোনা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিক্রয়যোগ্য হয়ে উঠে। স্থানীয় বাজারের ক্রেতারা যাতে নিজেদের পছন্দমতো মাছ ক্রয় করতে পারে এজন্য রাসেল দীর্ঘ সময় জীবন্ত রাখার জন্য কৃত্রিম উপায়ে মাছগুলো সংরক্ষণ করেন। এতে তার মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্থ স্বল্পতার কারণে এ বাড়তি চাহিদা মিটানো তার পক্ষে সবসময় সম্ভবপর হয়ে উঠে না ।
মাহমুদ, তাহসিন ও জহির তিনজন মিলে একটি নিটিং গার্মেন্টস গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মিজানকে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে বিনা মূলধনে প্রতিষ্ঠানের অংশীদার করে নেয়া হয়। মাহমুদ, তাহসিন ও মিজান ব্যবসায় পরিচালনায় অংশ নেয় কিন্তু জহির অংশ নেয় নি । বছর শেষে জহির অন্যান্যদের সমান মুনাফা দাবি করে।
মি. আজাদ তার ২০ জন বন্ধু নিয়ে ২০১৩ সালে একটি কম্পোজিট টেক্সটাইল 'জাইটেক্স লি.' স্থাপন করেন। ভোক্তাদের রুচি ও প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে স্টক ও ১০% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে তারা কারখানা সম্প্রসারণের চিন্তা-ভাবনা করছেন। বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ব্যাংক ঋণের সুদের হার অনেক বেশি
বংশালের ২০ জন জুতা প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক মিলে তিন বছর যাবত যথাক্রমে ৬,০০,০০০ টাকা, ৮,০০,০০০ টাকা ও আইনগত সত্তা বিশিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি গত ৯,০০,০০০ টাকা মুনাফা অর্জন করে । অর্জিত মুনাফা বিধি মোতাবেক সঞ্চিতি তহবিলে রেখে অবশিষ্ট টাকা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেয়। তারা নিজেদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য আফতাব নগরে এককালীন ১০,০০,০০০ টাকা প্রদান করে কিস্তিতে একটি প্লট কেনার সিদ্ধান্ত নেয়
জনাব আব্দুল মানান্ন 'বাংলাদেশ ও ব্যবস্থাপনা' নামক একটি বই লিখেন। 'অহনা প্রকাশনী' বইটির গ্রন্থস্বত্ব কিনে নেয়। বইটি পাঠক সমাজে খুবই সমাদৃত হওয়ায় চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 'তিশা প্রকাশনী' বইটির কভার পৃষ্ঠা ও বিষয়বস্তুর সামান্য পরিবর্তন করে হুবহু প্রকাশ করে। ফলে অহনা প্রকাশনীর বিক্রয় হ্রাস পায় অহনা প্রকাশনী ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার চেয়ে তিশা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
তুষার পড়াশুনা শেষ করে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক তুষারের কর্মতৎপরতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতা দেখে গার্মেন্টসের বিভিন্ন বিভাগে পদ পরিবর্তন করে তাকে দক্ষ করে তোলেন। পরবর্তীতে তুষার নারায়ণগঞ্জে ‘তুষার গার্মেন্টস' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রবি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্ৰ থেকে নার্সারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয় । তাদের নিজস্ব জমিতে নার্সারি শুরু করে। কিন্তু পর্যাপ্ত পুঁজির সংস্থান করতে না পারায় সে কিছুটা হতাশ। তার বন্ধুর পরামর্শে সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহের জন্য আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটি তাকে মূলধন সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে।
মি. রাশেদ ‘বিডি ফ্যাশন' নামে একটি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ও রুচিসম্মত ফ্যাশনের হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য একটি প্রাইমারি বিদ্যালয় ও একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। তবে প্রতিষ্ঠানটি আবাসিক এলাকার পাশে স্থাপিত হওয়ায় মেশিনের শব্দের কারণে এলাকাবাসীর অনেক অসুবিধা হচ্ছে।