জনাব মাহি স্থানীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ৫০,০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। তার সংগৃহীত উন্নত জাতের তেলাপিয়া মাছের পোনা অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়ে উঠে । বাজারে ক্রেতারা যাতে নিজের পছন্দমতো মাছ ক্রয় করতে পারে এজন্য জনাব মাহি দীর্ঘ সময় সতেজ রাখার জন্য মাছগুলো সংরক্ষণ করেন । এতে তার মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্থ স্বল্পতার কারণে এ বাড়তি চাহিদা মিটানো তার পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠে না
সামিন, মাসুম, শফিক তিনজন মিলে একটি গার্মেন্টস গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদকে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে মূলধন ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের অংশীদার করে নেয়।। সামিন, মাসুম ও জাহিদ ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু শফিক অংশ গ্রহণ করে নি। বছর শেষে শফিক অন্যদের সমান মুনাফা দাবি করে।
ঢাকায় ২৫ জন জুতা প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক একত্রিত হয়ে আইনগত সত্তা বিশিষ্ট একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ।প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছর যাবত যথাক্রমে, ৮,০০,০০০ টাকা, ১০,০০,০০০ টাকা ও ১২,০০,০০০ টাকা মুনাফা অর্জন করে। অর্জিত মুনাফা বিধি মোতাবেক সঞ্চিত তহবিলে রেখে অবশিষ্ট টাকা নিজের মধ্যে বণ্টন করে নেয়। তারা নিজেদের আবাসন সমাধানের জন্য বসুন্ধরায় এককালীন ৯,০০,০০০ টাকা প্রদান করে কিস্তিতে একটি প্লট কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
জাহানারা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ২৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে একটি নার্সারি করেন। এখানে উন্নত মানের ও উচ্চফলনশীল বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ চারাগাছ উৎপাদন করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে তার নার্সারি থেকে চারা কিনে নেয়। এতে আর্থিকভাবে তিনি লাভবান হন। ধীরে ধীরে নার্সারির পরিধি বড় হচ্ছে। তার নার্সারিতে কাজ করে প্রায় ৭(সাত) জন বেকার নারী।
মনোয়ারা ঢাকা EPZ-এর একটি কারখানায় কাজ করে। মনোয়ারার গ্রামে ব্যাংক ও পোস্ট অফিস না থাকায় বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানো কষ্ট হয়ে পড়ে। অথচ তার সহকর্মী সুমি মনোয়ারার EPZ-এর পাশের একটি ব্যাংকের অনুমোদিত বুথ থেকে কার্ডের মাধ্যমে মুহূর্তে তার একাউন্ট থেকে বেতনের টাকা তুলতে পারে। সম্প্রতি মনোয়ারার গ্রামটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। এতে মনোয়ারা তার সমস্যা সমাধানে আশাবাদী।
জনাব বেলালের দত্তপাড়া বাজারে একটি চালের আড়ত আছে। তিনি ন্যায্যমূল্যে ও সঠিক ওজনে চাল বিক্রয় করে থাকেন। পক্ষান্তরে জনাব শামীম দত্তপাড়া বাজারের আরেক ব্যবসায়ী। তিনি অধিক লাভের আশায় চালের সাথে সাদা পাথরের কণা মিশিয়ে ক্রেতাদের নিকট চাল বিক্রি করেন। কয়েক মাস ব্যবসায়টি ভালো চললেও পরবর্তীতে তার বিক্রয়ের পরিমাণ কমতে থাকে।