জনাব ইমন মধুপুরের বাসিন্দা। তিনি জীবিকা উপার্জনের লক্ষ্যে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করেন। তা থেকে কাঠ চেরাই করে আসবাবপত্র তৈরি করেন। তিনি ঐ সমস্ত আসবাবপত্র ময়মনসিংহ এলাকার বিভিন্ন দোকানে স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করেন। বর্তমানে তার ব্যবসায়টি ভালো চলছে। তার পণ্যের চাহিদা যথেষ্ট থাকায় ব্যবসায় বাড়াতে চান। কিন্তু পুজির কারণে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া মধুপুর থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব কিছুটা দূরে হওয়ায় তিনি আসবাবপত্র সঠিক সময়ে দোকানে পৌঁছানোর ব্যাপারে চিন্তিত। কিন্তু তারপরও তিনি এ ব্যবসায়ের সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী ।
মিসেস পাখি একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। সেখানকার আমের উৎপাদন সচরাচর বেশি হয় তাই তিনি নতুন ধরনের ব্যবসায় শুরু করলেন; যেখানে তিনি বিভন্ন ধরনের আচার ও আমের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি রাখেন। অল্প দিনের মধ্যেই তার ব্যবসায়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তাই তিনি দেশব্যাপী তার পণ্যগুলোর প্রচার করতে চান। তিনি বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী ও অন্য প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা নেবার কথা ভাবছেন। পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের কথাও ভাবছেন। তবে পদ্ধতিগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে তিনি চিন্তিত ।
জনাব রানা স্বল্প পুঁজি নিয়ে সিয়ামুনের মতো বিলাসবহুল হোটেল খাওয়া থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে একটি হোটেল দিলেন। সেখানে তিনি ২৫ টাকায় ৬টি আইটেমের সাথে ১ প্লেট ভাত বিক্রি করেন। তিনি তার হোটেলের খাবারের রেসিপির মধ্যে পরিবর্তন এনে নতুন নতুন ভালো স্বাদের খাবার ঐ দামে বিক্রি করেন। এর ফলে তার ব্যবসায়টি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠে ।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা যুবক ফাহিম বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এনে দ্রুত সাফল্য লাভের আশায় তিনি একটা ভ্রাম্যমাণ গাছ চিকিৎসার ব্যবসায় শুরু করলেন। তিনি গাছের বিভিন্ন রোগের জন্য ঔষধ, বিভিন্ন রকম সার, গাছ ও মাটির পরিচর্চা কীভাবে করা যায় তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ব্যবসায়ের জন্য তিনি বেশ কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করেন। ব্যবসায়টি নিয়ে শুরুতে চিন্তিত থাকলেও বর্তমানে ব্যবসায়টির জনপ্রিয়তা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তার ব্যবসায়ে ক্রেতা সৃষ্টির জন্য টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সাহায্য নিলেন।
সুমন ও কাজল দুই জন ব্যবসায়ী বন্ধু। তারা X লি. ব্যাংকের গ্রাহক। ব্যাংকটির গ্রাহকরা যেকোনো শাখা হতে লেনদেন করতে পারে। সুমন ব্যাংকের এমন একটি কার্ড ব্যবহার করেন যার দ্বারা কেনাকাটা ও ATM বুথ হতে টাকা তোলা যায় নিজের জমানো টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে কাজল একটি কার্ড ব্যবহার করে যার দ্বারা সুমনের ন্যায় সুবিধা পায় এবং জমাতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
মি. রাজ্জাক ও তার বন্ধু সাজ্জাদ সমঝোতার ভিত্তিতে পাটের তৈরি হস্তশিল্পের পণ্যসামগ্রী কিনে এনে বাণিজ্য মেলায় স্টল দেন। বাণিজ্য মেলায় তাদের পণ্যগুলো ভোক্তাদের কাছে সমাদৃত হওয়ায় মুনাফা ভালো হয়। ক্রেতাসাধারণ মেলা শেষে তাদের ব্যবসায়ের স্থায়ী ঠিকানার সন্ধান চান। এ কারণে তারা স্থায়ীভাবে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য মূলধনের তেমন সমস্যা না থাকলেও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবছেন ।
আর সি. লি. একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। জয় ও বিজয় উভয়ে ঐ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার। জয়ের নিকট ২,০০,০০০ টাকার শেয়ার আছে। তিনি নির্দিষ্ট হারে কোম্পানি হতে লভ্যাংশ পান। অন্যদিকে বিজয়ের নিকট ১,০০,০০০ টাকার শেয়ার আছে। তিনি জয়ের পরে লভ্যাংশ পান এবং লভ্যাংশের হার প্রতি বছর সমান থাকে না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য একটি সভা আহ্বান করে।
অমরসিংহপুর গ্রামের সাধারণ কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন। এ সমিতির শেয়ারের সংখ্যা ২০,০০০। গত বছর সমিতির লাভের পরিমাণ ১,৫০,০০০ টাকা। জনাব রঠিক এ সমিতির একজন সাধারণ সম্পাদক। তার শেয়ারের সংখ্যা ১,০০০ টি বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বোচ্চ লভ্যাংশ বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়। রফিক সমিতি হতে ৬,৩৭৫ টাকা লভ্যাংশ উত্তোলন করে। সমিতিটির দ্বারা গ্রামবাসীর মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত হতে রক্ষা পেয়েছে