এলএলবি পাস করার পর জনাব আকিব চৌধুরী কারও অধীনে চাকরি না করে চৌধুরী লিগ্যাল এইড নামে একটি ফার্ম গঠন করে। প্রতিষ্ঠানটি নতুন হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যার পরিমাণ খুবই কম। অল্প দিনেই বিভিন্ন মামলায় গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হলেও স্থানীয় অনেকেই তা অবগত নন। এর ফলে তিনি ব্যবসায়ের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
সন্তোষ দত্ত টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ‘দত্ত শাড়ি ঘর’ এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটির শাড়ির মান যথেষ্ট ভালো এবং দামও তুলনামূলক কম। দত্ত শাড়ি ঘরের তাঁতের শাড়ির সুনাম ও চাহিদা রাজধানী শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে। সন্তোষ দত্তের একমাত্র ছেলে সমীরণ দত্ত বিদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে চাকরি না খুঁজে ঢাকার পল্লবীতে গড়ে তোলেন ‘টাঙ্গাইলের আদি দত্ত শাড়ি ঘর' । সমীরণ দত্ত কয়েক বছরেই ব্যবসায়ে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেন। দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় সমীকরণ দত্ত বিদেশে ব্যবসায় শাখা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
মিসেস ফয়জুন্নেসা যশোর শহরে ‘ফয়জুন্নেসা' নামে একটি কুলের দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। দোকানের তুলনায় ক্রেতা ও চাহিদা বেশি হলে তিনি তাৎক্ষণিক ফুলের দাম বাড়িয়ে দেন। আবার বর্ষা হলে বা চাহিদা কমে গেলে হঠাৎ দাম কমিয়ে বিক্রি বাড়িয়ে দেন। তার বিক্রি ও মুনাফা বেশ ভালো। তার তাজা স্কুলের ব্যবসায়ের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো দলিলাদি না থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মিসেস ফয়জুন্নেসার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস জামাল, জসিম ও জোবায়ের তিন | বন্ধু একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকায় তারা ব্যবসায়টি নিবন্ধন করেন নি। কিছুদিন সাফল্যের সাথে চলার পর পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার অভাবে ব্যবসায়টি বন্ধ হয়ে যায়। তারা যথেষ্ট পরিশ্রমী ও সৃজনশীল এবং প্রত্যেকেরই যথেষ্ট পুঁজি রয়েছে। পরবর্তীতে উদ্যোগী তিন বন্ধু সমজাতীয় পৃথক ব্যবসায় গড়ে তোলেন এবং প্রত্যেকেই সফলতা লাভ করেন
জনাব সফি তার সমুদয় অর্থ দিয়ে রূপালী ফ্যাশন নামে একটি কোম্পানির ১০ টাকা মূল্যের ৫০,০০০ শেয়ার ক্রয় করেন। তিনি কোম্পানি থেকে মুনাফা পাওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন নন বরং নিজেকে একজন কোম্পানির মালিক হিসেবে ভাবতে । স্বচ্ছন্দবোধ করেন। অপরদিকে তার বন্ধু জনাব ইয়াফি । অসুস্থতাজনিত কারণে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করে উক্ত | কোম্পানিতে ১,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন। তিনি | বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর বার্ষিক ২০% হারে লভ্যাংশ পান। দুই বছর পর জনাব ইয়াফি সুস্থ হয়ে ওঠার পর কোম্পানির পরিচালক হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
বাগেরহাট জেলার ২১ জন জেলে তাদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণের জন্য একটি সমবায় সমিতি গঠন করেছে। তাদের উৎপাদিত মৎস্য ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করেন। ৩ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার পরিমাণ ছিল :
বছর | ২০১২ | ২০১৩ | ২০১৪ |
মুনাফা | ৩,০০,০০০ | ৪,০০,০০০ | ৫,০০,০০০ |
তারা ন্যূনতম হারে বিধিবদ্ধ সংরক্ষিত তহবিলে সংরক্ষণ করেন। বর্তমানে তারা মাছ সংরক্ষণের জন্য ৫০,০০০ টাকায় তিনটি ডিপফ্রিজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তারা সংরক্ষিত তহবিল কাজে লাগাতে চাইছেন।
ক্রমাগত লোকসানের কারণে আজাদ সাহেবের বাবা তার প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির কারখানটি বন্ধ করে দিতে চাচ্ছিলেন । আজাদ সাহেব এমবিএ শেষ করে ব্যবসায়টির দায়িত্ব নেন। বিসিকের সহায়তায় জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আধুনিক যন্ত্রপতি ক্রয় করেন । তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলা ও ভবিষ্যৎ সমস্যা ও সম্ভাবনা অনুমান করে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে ভোক্তার চাহিদা পূরণে সচেষ্ট হন। এতে প্রতিষ্ঠানটি আবার লাভজনক হয়ে ওঠে। তিনি মনে করেন শিক্ষিত তরুণ সমাজ যদি সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।
জনাব আহাম্মেদ আলী একটি কারখানা স্থাপনের জন্য সুবিধাজনক জমি খুঁজছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে জমি পাওয়া গেলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি প্রভৃতির সুবিধা ছিল না। অবশেষে বিসিক শিল্পনগরীতে এসব সুবিধাসহ একটি প্লট পান। ফলে কারখানা স্থাপন তার জন্য সহজ হয়। তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হলেও তিনি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারছেন না। পার্শ্ববর্তী অন্য আর একটি কারখানা বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন ও মাইডাস থেকে কর্মী প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সহায়তা গ্রহণ করে গ্রাহকদের আরও বেশি হারে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে।
দাউদ সাহেব একজন চাকরিজীবী। ছেলেমেয়েকে স্কুলে নেওয়া-আনা ও তাদের যত্ন নেওয়ার কারণে স্ত্রী ফারজানাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। দুজনেই ব্যস্ত থাকার কারণে সংসারের। অন্যান্য কাজ যেমন- বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল | পরিশোধের সময় দাউদ সাহেবকে খুব ঝামেলা বা অসুবিধায় পড়তে হতো। বর্তমানে দাউদ সাহেব কাজের মাঝেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ করে থাকেন। এমনকি তিনি ব্যাংকে তার হিসাবের ব্যালান্সও মোবাইলের মাধ্যমে জেনে নেন। ফলে এখন তিনি সংসারের অনেক দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন ।