জামাল ও কামাল দুই বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষে জামাল X (প্রা.) লি. এবং কামাল Y (প্রা.) লি. নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। X কোম্পানিতে বিদেশ হতে ভেষজ চর্বি আমদানি করে। সেটি প্রক্রিয়াজাত করে ক্ষার ও সুগন্ধি মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাবান তৈরি করে তা বাজারজাতকরণ করা হয়। অন্যদিকে Y কোম্পানি সরকারের কাছ থেকে টেন্ডার নিয়ে দেশের মধ্যে বিভিন্ন সড়ক ও সেতু নির্মাণের কাজ করে। বর্তমানে দুই বন্ধুই সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
জনাব আসিফ তার নিজস্ব কারখানার মানসম্মত সুতা উৎপাদন করে বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় সরবরাহ করে থাকেন। উন্নত মানসম্পন্ন হওয়ায় আসিফের উৎপাদিত সুতা বিভিন্ন পোশাক শিল্প-কারখানায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত। নিজস্ব তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন কার্য পরিচালনা কারণে ধীরে ধীরে তিনি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুতা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। ভবিষ্যতে তার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা আছে ।
সাথী, মলি ও বীথি সমঝোতার ভিত্তিতে একটি বুটিক হাউজ প্রতিষ্ঠা করে। তাদের পণ্যের মান ভালো হওয়ায় লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই তারা ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে চায়। কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য তারা ব্যবসায়ে সময় দিতে পারে না। তাই শ্যামলীকে অংশীদার হিসেবে নেয়। শ্যামলী কোনো মূলধন না দিয়ে পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। এমতাবস্থায় ৫ বছর পর শ্যামলী দুর্ঘটনায় অচল হয়ে যায়। তাই তারা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে চিন্তিত
তুষার তার আট বন্ধুসহ X নামে একটি কোম্পানি গঠন করে। কোম্পানির পরিচালক ৫ জন। বর্তমানে তারা শেয়ারবাজারে শেয়ার ও ঋণপত্র ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি লাভে চলছে। অন্যদিকে রিংকু তার চার বন্ধু মিলে Y নামে একটি কোম্পানি গঠন করে এবং পরিচালকের সংখ্যা তিনজন। প্রতিষ্ঠানটি বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারছে না। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভালো চলছে।
পদ্মা নদীর তীরবর্তী একটি গ্রামের ৫০ জন প্রান্তিক কৃষক নিজেদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য আইনগত সভাবিশিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি সংগ্রহ, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে অনেক পরিমাণে মুনাফা ও পুঁজি বাড়াতে সমর্থ হয়। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তারা সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ দিয়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাতের বীজ ক্রয় ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে একমত হতে পারছেন না। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।
D নামের একটি প্রসিদ্ধ ব্যাংকের ৪০% শেয়ার সাধারণ জনগণের। ব্যাংকটি অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালনা করে। ব্যাংকটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১০০ টাকার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ হিসাবের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল গ্রহণ করা হয় এবং কৃষিঋণ নেওয়া হয় । এতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব জসিম একটি কারখানার মালিক। পদ্মা নদীর অদূরে তার কারখানা অবস্থিত। কখন কী ঘটে যায় এ ভেবে তিনি একটি বিমা কোম্পানির পলিসি গ্রহণ করেন। বিমার শর্তানুযায়ী যদি তার মৃত্যু ঘটে তবে তার পরিবার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। জনাব জসিম নিজের বিষয়ে সচেতন হলেও তার কারখানায় তিনি বর্জ্য শোধন যন্ত্রপাতি বসাননি। ফলে অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে ফেলছেন, যা প্রাণিকুল ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ । এটি তিনি বুঝতে চাচ্ছেন না ।