রহিম ও জামাল দুই বন্ধু। ঈদের ছুটিতে দুই পরিবারের সবাই কুমিল্লা জাদুঘরে ঘুরতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা প্রাচীন মুদ্রা, শিলালিপি, তাম্রলিপি ইত্যাদি দেখে মুগ্ধ হয়। রহিম আরও কিছু দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে তারা সবাই একটি লাইব্রেরিতে যায়। সেখানে গিয়ে রহিম একটি ঐতিহাসিক বই পড়ে ইতিহাসের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারে।
রাতুলের বাড়ি পদ্মা নদীর পাড়ে। প্রতিবছর বন্যার সময় তাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পর পানি সরে গেলে দুই তীরে পলিমাটি পড়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। তারা ছিল তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন। তারা কারুশিল্প, মাটির পাত্র, আসবাবপত্র, সোনা, রূপার তৈজসপত্র এবং হাতির দাঁত দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্যাদি। তৈরির প্রমাণ বহন করে ।
রিফাত ও সিফাত দুই খালাত ভাই। রিফাত থাকে বগুড়ার মহাস্থানগড় আর সিফাত থাকে ময়মনসিংহে। তারা নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে নৌকা ভ্রমণে যায়। নদীতে ঢেউ দেখে সিফাত ভয় পায় এবং চিৎকার শুরু করে। কিন্তু রিফাত নৌকা তীরে নিয়ে যায়। ছোটবেলা থেকে রিফাত আত্মনির্ভরশীল ও সাহসী। অন্যদিকে সিফাত নরম ও শান্ত স্বভাবের
আসাম প্রদেশ ও বিহার প্রদেশের মধ্যে বৈষম্য ক্রমবর্ধমান। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করায় আসামের জননেতা জনাব রহমান জনগণের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তার জনপ্রিয়তা দেখে বিহারের সরকার বারবার তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠান। রহমান সাহেব আসাম প্রদেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বৈষম্যের কারণে আসাম প্রদেশের কয়েকজন বাঙালি অফিসার ও সেনাসদস্য সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য সংগঠিত হতে থাকেন। বিষয়টি বিহার সরকারের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে আসামের দেড় হাজার জনগণকে গ্রেফতার করা হয়। এই ষড়যন্ত্রে রহমান সাহেবকে প্রধান আসামি করা হয়।
করিম সাহেবের মেয়ের বয়স ৬ বছর। তার স্ত্রী মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করতে চান। কিন্তু করিম সাহেব এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন। বাংলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য স্ত্রীকে বোঝান। তিনি বলেন, এ ভাষার বাংলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য স্ত্রীকে বোঝান। তিনি বলেন, এ ভাষার জন্য অনেকে জীবন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বাংলা মাধ্যম নিয়ে পড়াশোনা করেও আমার সন্তান অনেক বড় হতে পারবে।
'ক' ও 'খ' দুটি রাষ্ট্র। ‘ক' রাষ্ট্রের শাসক ‘খ’ রাষ্ট্রকে বিভিন্নভাবে শাসন ও শোষণ করত। এ বিষয়টি 'খ' রাষ্ট্রের নাগরিকগণ মেনে নিতে পারেনি। একপর্যায়ে 'ক' রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে 'খ' রাষ্ট্রটির প্রতিনিধিত্বকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেন। তা সত্ত্বেও 'ক' রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। অবশেষে আন্দোলনের মাধ্যমেই 'খ' রাষ্ট্রটি আলাদা হয়ে যায়।
রিপা তার দাদির কাছে গল্প শুনতে চাইলে তাকে একজন মহান নেতার গল্প শুনালেন। তার ডাকে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই মহান নেতার নেতৃত্বে ৯ মাসে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় অর্জন করেছিল। কিন্তু সে বিজয় তার ভাগ্যে বেশিদিন স্থায়ী হলো না। কিছুদিন পর তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। ইতিহাস এ হত্যাযজ্ঞকে কলঙ্কময় অধ্যায় বলে অভিহিত করেছে।