বকুল ও দোলন দুই বান্ধবী। একদিন ছুটির দিনে তারা সোনারগাঁ লোকশিল্প ! জাদুঘর পরিদর্শনে যায়। তারা সেখানে বাংলাদেশের হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন দ্রব্যাদি দেখতে পায়। বকুল বলে, “এই জিনিসগুলোই বাংলাদেশের ঐতিহ্য, বাংলাদেশের পরিচয় বহনকারী। আমরা যতই আধুনিক শিল্পজাত দ্রব্য ব্যবহার করি না কেন, এ সকল হস্ত ও কুটির শিল্পজাত দ্রব্যের মহিমাই আলাদা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার স্বকীয়তা।”
'ক' ও 'খ' প্রদেশের সমন্বয়ে 'গ' রাষ্ট্র গঠিত। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা স্ব প্রদেশের নেতাদের হাতে। শাসকবর্গ 'ক' প্রদেশের জনগণের প্রতি সীমাহীন বৈষম্য প্রদর্শন করে। ফলে “ক' প্রদেশের একজন তেজস্বী নেতা বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কয়েকটি দাবি পেশ করেন। কিন্তু শানকল সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত নেতা জনগণকে সাথে নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবতীর্ণ হন
একটি রাষ্ট্রে দুটি প্রদেশ দুই ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠা। একটি প্রদেশের আয়তন বেশি, ভূমি অনুর্বর ও জনসংখ্যা কম। অন্য প্রদেশের আয়তন কম, ভূমি উর্বর ও জনসংখ্যা বেশি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বড় আয়তনের প্রদেশের নেতৃবর্গ। শাসকের সদিচ্ছার অভাবে ছোট আয়তনের প্রদেশটির জনগণ নানা বৈষম্যের শিকার হয়। এমতাবস্থায় বঞ্চিত প্রদেশের একজন নেতার উদ্যোগে জনগণ আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন থামাতে শাসক কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এতে বেশকিছু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
ক ও খ প্রদেশ নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠিত। 'ক' প্রদেশের রাজনৈতিক দল প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ উভয়ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করে। তবু শাসকগোষ্ঠী বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে বিজয়ী দলের নেতা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান যেন সকলে মুক্তি অর্জনের জন্য প্রস্তুত থাকে, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে কুচক্রীদের মোকাবিলা করতেও তিনি আহ্বান জানান ।