গ্রীষ্মকালীন অবকাশে জোহান দাদুর বাড়িতে যায়। ওর দাদুর বন্ধুর একটি প্রাচীন দ্রব্যাদির সংগ্রহশালা আছে। সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত চিঠিপত্র, দলিল, বই ইত্যাদি দেখে জোহান খুব আনন্দিত হয়েছিল। ফিরে আসার সময় দাদুর বন্ধু ওকে কয়েকটি প্রাচীন বই উপহার দেন। উপহারের বইগুলো জোহান আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলে, দাদু বলেন, এসব বই না পড়ে, পাঠ্যপুস্তক পড়, তাতে উপকার বেশি হবে।
শেফালী বেগম তার ইতিহাসের শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে ময়মনসিংহের জাদুঘর শশীলজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীরা এসব স্থানে মূর্তি, প্রাচীন আসবাবপত্র, মুদ্রা ও নানাবিধ দলিল দেখে। শেফালী বেগম বলেন, “এসব প্রাচীন জিনিস দেখার ফলে তোমরা দেশ ও জাতি সম্পর্কে সচেতন হবে এবং সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।
সুমন সাহেব ঢাকা শহরে এসে গুলশান আবাসিক এলাকায় বেড়াতে গেলেন গুলশান এলাকার স্থাপনাগুলোর নির্মাণশৈলী দেখে অবাক হন এবং তার গ্রামে ঐভাবে একটা বাড়ি তৈরির কথা চিন্তা করেন। শহীদুল জ্যামিতির চিত্র আঁকছিল। যে নিজের ছবি আঁকতে গিয়ে লক্ষ করল প্রাচীন এক সভ্যতার এরকম ত্রিভুজের মতো দেখতে এক বিশেষ স্থাপত্য শিল্প রয়েছে
দৃশ্যপট-১ : 'ক' নামক দেশে জনগণ সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগ করেন। কোনো রাজা বা রানি সরকারপ্রধানের পদ পেতে পারেন না। বর্তমান পৃথিবীতে এ ধরনের সরকারব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়।
দৃশ্যপট-২ : শামীন টেলিভিশনে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল। এতে দেখাচ্ছিল, একটি বড় নদীর দুই পাড়ে জনবসতি গড়ে ওঠে। প্রতিবছর বন্যায় পলি পড়ে সেখানকার জমি উর্বর হয়। সেই জমিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক সভ্যতা। প্রতিবছর বন্যার পর সে জমিতে একবারই ফসল জন্মাত।
ক ও গ প্রদেশের সমন্বয়ে প রাষ্ট্র গঠিত। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা 'ব প্রদেশের নেতাদের হাতে। শাসকবর্গ 'ক' প্রদেশের জনগণের প্রতি সীমাহীন বৈষম্য প্রদর্শন করে। ফলে 'ক' প্রদেশের একজন তেজস্বী নেতা বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কয়েকটি দাবি পেশ করেন। কিন্তু শাসক চক্র সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত নেতা জনগণকে সাথে নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয় ।
'ক' ও 'খ' প্রদেশ নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠিত। 'ক' প্রদেশের রাজনৈতিক দশ প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ উভয় ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করে। তবু শাসকগোষ্ঠী বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে বিজয়ী দলের নেতা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান যেন সকলে মুক্তি অর্জনের জন্য প্রস্তুত থাকে। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে কুচক্রীদের মোকাবিলা করতেও তিনি আহ্বান জানান ।
ভিনদেশীয় শত্রুর কবল থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য তুলশীপুরের জনগণকে বেশ কয়েক মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে। যুদ্ধে দেশের অনেক ক্ষতি হয়। যুদ্ধের সময় তুলশীপুরের জনপ্রিয় নেতাকে শত্রুশক্তি অবরুদ্ধ করে রাখে। দেশ ও জনপ্রিয় নেতা যখন শত্রুমুক্ত হয়, তখন প্রিয় নেতা জনগণকে সাথে নিয়ে তুলশীপুরের উন্নয়ন ও সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা, পুল, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির উন্নয়ন ও সংস্কার করেন। তাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশে-বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়।