আরিফ সাহেব তার মেয়ে আশাকে অতীতের বিভিন্ন ঘটনাবলির ওপর লেখা কিছু বই উপহার দেন মেয়ে বলল বাবা এই বইগুলো কেন দিলে? তখন তিনি বলেন, অতীতকে জানার জন্য এ ধরনের বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আর অতীত ছাড়া ভবিষ্যৎ রচনা করা সম্ভব নয় । দেশ ও জাতির স্বার্থে ইতিহাস পাঠ করা অত্যন্ত জরুরি। এ বইগুলো জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।
নিসাদ ম্যাগাজিন পড়তে পছন্দ করে। তাই তার বড় ভাই প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কীয় ম্যাগাজিন এনে দেন। সে ম্যাগাজিন পড়ে একটি জাতির জীবনযাপন প্রণালি ও তাদের সফলতার কথা জানতে পারে। উক্ত জাতি শিক্ষা-সাহিত্য, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রেই ছিল সেরা। আইনের ক্ষেত্রেও এই জাতিটি ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ। তারা ১৫টি ব্রোঞ্জপাতে সর্বপ্রথম আইনগুলো খোদাই করে। জনগণকে দেখাবার জন্য প্রকাশ্যে তা ঝুলিয়ে রাখত। তাদের আইনের দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান ।
লামিয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শ্রেণিতে তার শিক্ষক গঙ্গা ও ভাগীরথীর পূর্বতীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ সম্পর্কে আলোচনা করেন। অন্য একটি জনপদের আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষক বলেন, প্রাচীন শিলালিপিতে এ অঞ্চলের দুটি নাম পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বদিকে এর অবস্থান এবং এই জনপদ থেকে একটি জাতির উৎপত্তি।
দৃশ্যকল্প-১: রফিকের বাড়ি পদ্মানদীর তীরে । এখানে প্রায় প্রতিবছর বন্যা হয়। বন্যার পানি নেমে তীরবর্তী এলাকায় পলি জমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঐ অঞ্চলে চাষাবাদ করে কৃষকরা প্রচুর ফসল উৎপাদন করে।
দৃশ্যকল্প-২ : আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন 'ক' দেশে চাকরি করেন। সেদেশে আইনের ব্যবহার খুবই কঠোর। সেখানকার আইনে সকল মানুষ সমান। আইনে মানুষের নিরাপত্তা, জানমাল রক্ষার কথা বলা হয়েছে। জনসাধারণের জানার জন্য তা বোর্ডে লিখে মহল্লাগুলোতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
দৃশ্যপট-১ : জয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে ইন্টারনেটে ইতিহাসের ক্লাস করতে গিয়ে আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশের সাথে পরিচিতি লাভ করে। সে দেশের জনগণ প্রথম জ্যামিতি ও পাটিগণিতের প্রচলন শুরু করেন ।
দৃশ্যপট-২ : তুলি এনজিও তে গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর মাঠকর্মীর কাজ করতে গিয়ে নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্রামে যান। তিনি দেখতে পান সেখানকার অধিকাংশ লোক কৃষিকাজ করেন। এছাড়াও মাঠের মাঝে মাঝে ত্রিকোণাকার পাথরের স্থাপনা তার চোখে পড়ে।
নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ১৯৪০ সালে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৪৪ সালে ইয়ুথ লীগ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিলে সরকার তাকে গ্রেফতার করে। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবাস করেন। বর্ণবাদের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বহু বছর সংগ্রাম করেন এবং শেষপর্যন্ত সফল হন। আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা তার গোত্রের নিকট 'মাদিবা' নামে পরিচিত। যার অর্থ হলো 'জাতির জনক'।
'ক' দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা। তাদের দেশের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও নিজ দলের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে সেদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। 'ক' দেশটির সরকার বিষয়টি জানতে পারে এবং বিরোধী দলের নেতাকে প্রধান আসামি করে মামলা করে গ্রেফতার করেন। কিন্তু গণআন্দোলনের ফলে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
দৃশ্য-১: একটি দেশের সামরিক শাসক নতুন সংবিধানের ঘোষণা দিলে দেশটির পূর্বাংশের ছাত্রসমাজ বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্লাস বর্জন করে। ছাত্রদের সংবিধান বিরোধী এ আন্দোলনে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সমর্থন ব্যক্ত করেন। ফলে শাসকশ্রেণি ছাত্রদের ওপর কঠোর দমন নীতি প্রয়োগ করে।
দৃশ্য-২ : একটি দেশ দুটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। একটি উত্তরাঞ্চল ও অপরটি দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু উন্নয়ন হতো উত্তরাঞ্চলে এবং দক্ষিণাঞ্চল ছিল অবহেলিত। এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিমা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর ছিল উত্তরাঞ্চলে । এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে কোনো ধরনের শিল্প, কারখানা গড়ে ওঠেনি।
আব্দুল মতিন সাহেব একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য আরও তিনটি রাজনৈতিক দলের সাথে জোট গঠন করেন। ফলে নির্বাচনে এই জোট দেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দলকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় জনগণ নানা বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় এ জোটকে ভোট প্রদান করেছিল। অন্যদিকে মতিন সাহেবের ছোট ভাই কামাল একটি বহুমুখী কোম্পানির ব্যবস্থাপক। কোম্পানির বেশিরভাগ কর্মকর্তা, কর্মচারী ছিল বাঙালি কিন্তু মালিক পক্ষ ছিল ইংরেজ। অফিসের এক অনুষ্ঠানে কামালকে ইংরেজিতে বক্তব্য দিতে বললে, তিনি এর প্রতিবাদ করেন। কারণ তিনি বাংলা ভাষাতেই বক্তব্য দিতে চান। এ অবস্থায় মালিক পক্ষ তাকে জোরপূর্বক ইংরেজিতে বক্তব্য প্রদানে বাধ্য করে।