সুন্দরবন এলাকায় বাওয়ালি সবুজ ও তার লোকজন মৌচাক হতে মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করত। ইদানীং সবুজদের কাছে এ পেশা লাভজনক না হওয়ায় তারা বিকল্প পেশা খুঁজতে থাকে। টেলিভিশনে প্রচারিত কৃষিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ শাইখ সিরাজের অনুষ্ঠান দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়। সবুজ ও তার লোকজন বিকল্প পেশা হিসাবে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করে। অধিক লাভজনক হওয়ায় তারা এটিকেই স্থায়ী পেশা হিসেবে বেছে নেয় ।
জামাল সাহেব সুবিদপুর উপজেলার একজন দক্ষ চেয়ারম্যান ছিলেন। তার এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের লোকের বসবাস ছিল। তিনি তার উদার চিন্তা প্রয়োগ করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেন। এর ফলে সকল ধর্মের লোকদের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি তৈরি হয়। তিনি তার এলাকায় তরুণ লেখকদের সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন । এর ফলে সাহিত্য চর্চা গতিশীল হয় ।
ব্যবসায়ী সালমানের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে সম্পত্তি ভাগাভা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বড় ছেলে তমাল আয়ের প্রধান উৎস দোকান পরিচালন দায়িত্ব নেন এবং ছোট ছেলে কায়সারকে সংসার পরিচালনার দায়িত্ব দেও হয়। সংসারের ভিন্ন কোনো আয়ের পথ না থাকায় নির্ধারিত অর্থে কায়স সঠিকভাবে সংসার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়। অপরপক্ষে তমাল দোকান থেকে প্রা অর্থ উপার্জন করে ব্যাংকে জমা রাখে। সঠিকভাবে সংসার পরিচালনায় ব্যর্থত অভিযোগে কাউসারকে দায়ী করে তমাল। ফলে সংসারে দুই ভাইয়ের মে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
বৃদ্ধ কলিমউদ্দিন তার সাত ছেলেকে ডাকলেন। তিনি তার ছেলেদের এক 8 বিশেষ শিক্ষা দিবেন বলে মনস্থির করলেন । তিনি প্রত্যেকের হাতে একটি করে 1 লাঠি দিলেন এবং প্রত্যেককে তা ভেঙে ফেলতে বললেন । প্রত্যেকেই তা মটমট করে ভেঙে ফেলল। এবার তিনি তার সন্তানদেরকে একসাথে সাতটি লাঠি বাঁধতে বললেন। এবার একে সাত ছেলেকে ভাঙতে দিলে। কিন্তু কেউই তা ভাঙতে পারল না। এবার কলিমউদ্দিন তার সন্তানদেরকে বললেন, তোমরা যদি এভাবে ঐক্যবদ্ধ থাক তাহলে তোমাদেরকে কেউ হারাতে পারবে না ।
'ক' প্ৰদেশ শাসিত ‘খ’ অপর একটি প্রদেশ। সুজলা সুফলা 'খ' প্রদেশের বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হয়। উপার্জিত অর্থ চলে যায় ‘ক' প্রদেশে। ফলে 'খ' প্রদেশের মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলিত ও বঞ্চিত হয়। এতে একসময় সে অঞ্চলের মানুষ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। ক. পাকিস্তানি শাসনামলে শতকরা কতজন বাংলা ভাষায় কথা বলত?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সাম্রাজ্যবাদী নীতির প্রতিফলন ঘটায় ইরাকে। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় মার্কিন সরকার। সাদ্দাম হোসেনকে বন্দি করা হয়। ইরাকের এই দুর্দিনেও কিছু ইরাকি সাদ্দাম হোসেনের বিরোধিতা করে এবং মার্কিনীদের সাথে হাত মেলায়। এ সকল বিশ্বাসঘাতকের সহায়তাকে পুঁজি করে মার্কিনীরা ইরাকে তাদের অভিযান জোরদার করে।
রসুলপুর অঞ্চলটি শাসিত ছিল বহিরাগত শাসকগোষ্ঠী দ্বারা। সে অঞ্চলের নেতা রাফি তার এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে বহিরাগত শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে রসুলপুরকে শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্ত করেন। রাফি জনগণকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন। কিন্তু রসুলপুরের কিছু দুষ্কৃতকারী রাফিকে সপরিবারে হত্যা করে।