দৃশ্যপট ১ : ইতিহাসের শিক্ষক সৌমিক তার শিক্ষার্থীদের বাংলার স্বাধীন সার্বভৌম রাজা সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন। তিনি জানালেন চীনের পরিব্রাজক ঐ রাজার সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। যিনি অন্য ধর্মের প্রতি অসহিষ্ণু এবং শিবের উপাসক ছিলেন। তিনি উত্তর ভারতের দুটি রাজবংশের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। দৃশ্যপট ২ : বিগত কয়েক দশক আগে মধুমতি নদী ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল । হঠাৎ পলি পড়ে নদী এখন মৃতপ্রায়। জেগে ওঠা জমি বড় বড় ভূমি দস্যুরা দখল করে নেয়। ছোট পরিবারগুলো যাদের জমি নদী কেড়ে নিয়েছিল তারা জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। পরিশেষে সরকারের নির্দেশে সেখানে উপেন বাবু প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং তিনি সকল সমস্যার অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন ।
আব্দুল কাদের তার জমিদারির নায়েবকে খুব বিশ্বাস করত। নায়েব মহাশয় জমিদারি নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সে অন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী জমিদারের সাথে আঁতাত করে জমিদার সাহেবের জমিদারির গোপনীয় বিষয়গুলো পাচার করে দিত। এতে করে আব্দুল কাদের সাহেবের জমিদারি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আব্দুল কাদের সাহেব বুঝতে পেরে তার নায়েব মহাশয়সহ জড়িত সবাইকে বরখাস্ত করেন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী জমিদারির সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন এবং নতুন লোক নিয়োগ দেন। জমিদারি আবার পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসে।
দৃশ্যকল্প-১ : পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাক চাষ হয়। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকা কোম্পানি স্থানীয়দের তামাক চাষে বাধ্য করেন। স্থানীয় তামাক চাষির নেতৃত্বে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তামাক চাষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে কর্তৃপক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে তামাক চাষ ইচ্ছাধীন বলে ঘোষণা করেন।
দৃশ্যকল্প-২ : অন্যদিকে সুলতানপুর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। সেখানে নানা ধরনের সামাজিক কুসংস্কার বিরাজমান। ঐ অঞ্চলের মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জমিলা বেগম একটি প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করে মেয়েদের অন্ধকার অবস্থা থেকে আলোতে আনার চেষ্টা করেন।
দৃশ্যকল্প-১ : গত বছর আকাশ বন্যায় হাওর অঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তুলতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়ী করতে থাকে। তারা মনে করেন যথাসময়ে ফসল রক্ষা বাঁধের মাধ্যমে ফসলকে অকাশ বন্যার হাত থেকে রক্ষা করা যেত ।
দৃশ্যকল্প-২ : অপরদিকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল খরা এলাকা। গ্রীষ্মকালে ঐ অঞ্চলের মানুষ প্রচণ্ড পানির অভাবের সম্মুখীন হয়। তাদের পানির অভাব দূর করার জন্য ঐ অঞ্চলের একজন প্রতিনিধি জনাব নিখিল সাহেব জলাধার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এছাড়াও জনগণের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন ।
দৃশ্যকল্প-১ : তালা থানার ত্রিশ মাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুযোগ্য মোরাদ সাহেব বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান তার স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে মোরাদ সাহেবকে তার স্ব-পদে অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। ব্যাপারটি এলাকার সর্বসাধারণের মধ্যে ভীষণ ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
দৃশ্যকল্প-২ : ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হলে তার দাদু খুব অখুশি হয় এবং তার জীবনের অতীতের বেশকিছু স্মৃতি মনে পড়ে চোখে জল এসে যায়। শিক্ষা জীবনে তিনি অধিকার আদায়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। অদ্রিতার সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বললে তিনি অস্বস্তিবোধ করেন এবং কষ্ট পান। অদ্রিকে তিনি বাংলার প্রতি আকৃষ্ট হতে উৎসাহ দেন। বলেন বাংলা আমাদের অনেক আত্মত্যাগের ফসল ।