কবির সাহেব একজন কর্মকুশলী শাসক ছিলেন। জীবিকার সন্ধানে তিনি জন্মভূমি ছেড়ে একটি এলাকায় যান। কিন্তু শারীরিক গঠনে আকর্ষণীয় না হওয়ায় চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অনেক চেষ্টায় অন্যত্র গিয়ে সেখানকার সৈন্য বিভাগে চাকরি পান। কিন্তু এ কাজে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। পরবর্তীতে কিছু সংখ্যক সৈন্য সংগ্রহ করে আক্রমণ চালিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দখল করে নেন ।
দৃশ্যকল্প-১ : অসাধারণ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন বিজয় ঘোষ। বিভিন্ন ভাষায় তিনি দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি সমাজ থেকে হিন্দুধর্মের বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করে নতুন সমাজ গঠনে উদ্যোগী হন। এই উদ্দেশ্যে তিনি একটি সমিতি গঠন করেন এবং শুদ্ধি হিন্দু সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা বিস্তারেও তার যথেষ্ট অবদান ছিল।
দৃশ্যকল্প-২ : উনিশ শতকের একজন সমাজ সংস্কারক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে রাতে রাস্তার বাতির নিচে পড়াশুনা করতে হতো। অসাধারণ মেধা থাকার কারণে তিনি কম বয়সেই বিভিন্ন বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি পেশায় কলেজের পণ্ডিত ছিলেন। তিনি হিন্দু সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করেন, দান-দাক্ষিণ্যের জন্য তিনি খ্যাত ছিলেন ।
জননেতা ইমাম সাহেবের মৃত্যুর পর এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার সৃষ্টি হয়। কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের রাজত্ব কায়েম করার জন্য সর্বদা দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পাবার জন্য এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ জনসাধারণের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। ঘনশ্যাম বাবুকে তাদের নেতা বানাবেন। স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গও ঘনশ্যাম বাবুর নেতৃত্ব মেনে নেয় । ঘনশ্যাম বাবু নেতৃত্ব গ্রহণ করলে জনজীবনে পুনরায় শান্তি ফিরে আসে।
একটি রাষ্ট্রের দুটি অংশ। ক্ষমতাশীল অংশটি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্য অংশের ওপর সব সময় শাসন, শোষণ ও বৈষম্য চালায়। নির্যাতিত অংশ এই অপশাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষার জন্য তাদের শীর্ষ নেতা চৌধুরী মহিউদ্দিনের নির্দেশে প্রতিবাদ করে এবং কতকগুলো দাবি জানায় । ফলে উভয় অংশের ভিতরে বিরোধের সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীকালে যুদ্ধের রূপ নেয় এবং শোষিত অঞ্চল জয়লাভ করে।