রিক্তা বার্ষিক পরীক্ষার পর তার মামার সাথে ঢাকায় বেড়াতে যায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর এক পর্যায়ে সে জাতীয় যাদুঘরে যায়। ২য় তলায় সে খাট- পালং, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, গহনা, বিভিন্ন ধরনের নৌকা, সিন্দুক ইত্যাদি দেখতে পায় । মামা তাকে বলেন যে, এগুলো দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ রায়ের সময়কার জিনিসপত্র। এরপর রিক্তা তৃতীয় তলায় গেলে সেখানে বিভিন্ন পুঁথিপত্র, পুরাতন আমলের কিছু মলিন বই-পত্র দেখে। এগুলোর নিচে লেখা আছে ইবনে বতুতার, হিউয়েন সাং-এর ভ্রমণবৃত্তান্ত। মামা তাকে বলেন যে, পুরাতন আমলের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন পর্যটকদের ভ্রমণ বৃত্তান্তের সাহায্যে ওই সময়কার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা সম্ভব হয়েছে
মামুন টিভিতে একটি নাটক দেখছিল। নাটকে বাড়ির কর্তা গৃহভৃত্যকে দোকান থেকে সিগারেট আনতে বললে গৃহভৃত্য বলে, “আমি সৈয়দ বংশের লোক, সিগারেট আনতে পারব না।” তা শুনে মামুন হাসতে শুরু করলে তার বাবা তাকে বললেন, “মধ্যযুগে আরব দেশীয় সৈয়দ বংশের একজন শাসক বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। রাজ্যে যুগোপযোগী ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করেন এবং কবি- সাহিত্যিকগণকে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার প্রদান করতেন। বাংলা সাহিত্যের উন্নতি ও বিকাশ তাঁর শাসনকালকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।
আকাশ ও তার দাদু হোসেন সাহেব টিভিতে 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা' নামক একটি সিনেমা দেখছিল। সিনেমা শেষে জনাব হোসেন সাহেব তার নাতীকে বলেন যে, পলাশী যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে বাংলায় মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের পথ সুগম হয়। এর প্রায় ছয় বছর পর অন্য আরেকটি যুদ্ধে ইংরেজরা জয়ী হলে বাংলায় প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হয়।
জনাব রফিকুল ইসলাম রূপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। রূপপুর ইউনিয়ন একটি বিশাল এলাকা। এত বিশাল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা ছিল কঠিন কাজ। তাই তিনি এ এলাকাকে দুটি প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করেন। শাসন সুবিধার জন্য বা উভয় এলাকার জনকল্যাণের জন্য রূপপুরকে দুটি অংশে ভাগ করেন। এর পিছনে সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত ছিল।
'ক' ও 'খ' একই প্রশাসন ব্যবস্থার অধীনস্থ দুটি প্রদেশ। রাষ্ট্র পরিচালনায় 'ক' অঞ্চলের লোকজন বেশি অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ নিরপেক্ষভাবে দেশ পরিচালনা না করে পক্ষপাতিত্ব করে। ফলে ‘খা অঞ্চলের জনগণ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়। এরূপ বৈষম্যের অবসানকল্পে জনগণের বিভিন্নমুখী কর্মসূচিতে বাধা দিলে শেষ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নেয় ।