দ্বীপরাষ্ট্র পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে পর্তুগালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ইন্দোনেশিয়া সৈ বছরই এক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেশটি দখল করে নেয় এবং দুঃশাসন চাপিয়ে দেয়। তবে পূর্ব তিমুরবাসী সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেনি। জানানা গুসমাও নামের এক অকুতোভয় নেতা 'পূর্ব তিমুর সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন' গড়ে তোলেন। এ সংগঠনটি পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। যদিও ইন্দোনেশীয় সরকার জানীনা গুসমাওয়ের উপর সীমাহীন নিপীড়ন চালায় তথাপি তিনি মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যান। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০০২ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ব তিমুর বিশ্বমানচিত্রে জায়গা করে নেয়।
তুলি ঢাকায় থাকে। সে জাতীয় পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণের জন্য খুলনা যায়। সেখানে বৃষ্টি হওয়ার পরেও মাঠে পানি না থাকায় সে বিস্মিত হয়। তাছাড়া বাড়িগুলো ফাঁকা ফাঁকা হওয়ায় প্রচুর আলোবাতাস প্রবেশ করে। খেলায় অংশগ্রহণ করার ফলে সে তার অনেক পুরনো বন্ধুর দেখা পায়। বিভিন্ন জেলা থেকে সেখানে অনেকেই বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণের জন্য এসেছে। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয় ।
সমাজপতি নিসার চৌধুরী তার এলাকার পশ্চাৎপদ মানুষকে সচেতন করার জন্য একটি সাহিত্য সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকার অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি উক্ত সমিতিতে যোগ দেয়। তারা ঐ এলাকার মানুষের কুসংস্কার ও গোঁড়ামি দূর করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে দ্রুতই উক্ত এলাকার মানুষ সচেতন ও শিক্ষা অনুরাগী হয়ে ওঠে। এভাবে সাহিত্য সমিতিটি ঐ এলাকায় একটি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে ।
দৃশ্যপট-১ : বহুজাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর দেশ শ্রীলংকা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও দেশটির রাজনীতি সংখ্যালঘু সিংহলিজদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সিংহলিজরা 'ফ্রিডম পার্টি' নামক একটি দল গঠন করে তামিল ও অন্যান্য ভাষাভাষী লোকদের শোষণ ও নিপীড়ন করতে থাকে। সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা নিজেদের ভাষা দিভেহীকেই রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়।
দৃশ্যপট-২ : নন্দীপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ 'প্রগতি' নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে। সংগঠনটির সভাপতি হরিরামপুর গ্রাম থেকে নির্বাচিত হওয়ায় অপরাপর গ্রামের মানুষদের ওপর তারা বৈষম্য চাপিয়ে দেয়। এতে করে অন্য গ্রামের নেতারা প্রগতি থেকে বের হয়ে নতুন দল ও জোট গঠন করে। তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। পরবর্তীতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন এ রাজনৈতিক জোট বিপলু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
তমাল দিনাজপুরের রাম-সাগরে বনভোজনে গিয়ে অবাক হলো। সে তার শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করল, “এত বড় পুকুর কে এবং কেন খনন করেছে?” তার স্যার বললেন, “খরার হাত থেকে জনসাধারণকে রক্ষার জন্য এ এলাকার একজন হিন্দু জমিদার এ বিশাল পুকুর খনন করেন। তাছাড়াও তিনি শিক্ষা বিস্তারের জন্য অত্র অঞ্চলে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেন।” তিনি আরও বলেন, “গত বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দিনাজপুর শহরে পানি প্রবেশ করে। ঐ বন্যায় দিনাজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে সাধারণ মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। তারা মনে করে কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না ।
এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৬৯ সালে লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন কর্নেল গাদ্দাফী। সুদীর্ঘ শাসনামলে তিনি লিবিয়ার আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন। তবে সুশাসন ও গণতন্ত্রের দাবিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কঠোর আন্দোলন শুরু করে। অবশেষে ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর এ স্বৈরাচারী সামরিক শাসকের পতন ঘটে।
ঢাকা ১.৫০ কোটি জনসংখ্যার একটি বিশাল শহর। একমাত্র মেয়রের পক্ষে শাসনকাজ ও উন্নয়ন কাজ পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন ।
কর্তৃপক্ষ ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর এই দুই ভাগে বিভক্ত করে পরিপত্র জারি করে। মধ্যবিত্ত মিজান সাহেব ঢাকা দক্ষিণের অধিবাসী। মেয়ের বিয়ের কেনাকাটার জন্য নামকরা একটি শপিংমলে যান এবং সেখানে ভারতীয় শাড়িসহ বিভিন্ন দেশের প্রসাধনী দেখে ক্ষুব্ধ হন। তিনি দেশের তাঁত শাড়ি, জামদানি এবং দেশীয় প্রসাধনীয় কেনেন। তিনি দোকানিকে দেশীয় পণ্য বিক্রয়ে উৎসাহিত করেন ।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গে এক কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেছিলেন। যে ভাষণে তিনি দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন ক্রীতদাসদের মুক্তির কথা। তার ভাষণ ক্রীতদাসদের সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছিল। পাশাপাশি সব বর্ণ ও ধর্মের মানুষকে দিয়েছিল সাম্যের শিক্ষা। মালিক ও শ্রমিকের ব্যবধান ঘোচানো এ ভাষণ ১৮৬৫ সালে গৃহযুদ্ধ অবসানে রেখেছিল অসামান্য অবদান।