হৃদিতা ওর দাদুর সাথে ওয়ারী-বটেশ্বরে বেড়াতে যায়। সেখানে সে প্রাচীনকালের মুদ্রা, পুঁতির মালা, লকেট, মন্ত্রপুত কবচ ইত্যাদি দেখে। হৃদিতা দাদুকে বলে, “আমরা এসব জিনিস দেখে প্রাচীনকালের জীবিকা, ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি কি?” দাদু বললেন, “হ্যাঁ, আমরা এসব দেখে প্রাচীনকালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি।”
দৃশ্যকল্প-১ : বর্তমানে হাউজিং কমপ্লেক্সগুলোর পরিকল্পনায় দেখা যায় প্রতিটি দালানের সামনে প্রশস্ত রাস্তা, পানি নিষ্কাশনের জন্য নর্দমা এবং রাস্তার দুই পাশে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
দৃশ্যকল্প-২ : আইনের ব্যাপারে 'ক' গোষ্ঠীর লোকেরা অত্যন্ত কঠোর। তারা বিচারের ক্ষেত্রে “হাতের বদলে হাত, চোখের বদলে চোখ' এই নীতিতে বিশ্বাসী তারা জনগণের মাঝে সচেতনা সৃষ্টির জন্য আইনসমূহ লিখে জনগণের পড়ার জন্য গাছের ডালে টাঙ্গিয়ে রাখত।
ঘটনা-১ : রশীদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদের মৃত্যুর পর তাঁর অঞ্চলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কোনো যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে সবাই চলছিল।
ঘটনা-২ : বিলাসী গ্রামের লোকেরা তাদের আদি নিবাস ত্যাগ করে দুবলার চরে বসবাস শুরু করে এবং নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। দুবলার চরে শিক্ষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে এরা অনেক অবদান রাখেন ।
ঘটনা-১ : মাহিন ও শাহিন বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। তারা দেখে অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত হচ্ছে ভাত, মাছ, মাংস, ক্ষীর, পায়েস, দধি ইত্যাদি সবশেষে মসলাযুক্ত পান-সুপারির ব্যবস্থাও ছিল।
ঘটনা-২ : অপু চক্রবর্তী ও অর্ণব ঘোষ দুই বন্ধু। অর্ণবের বোনের সাথে অপুর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু এ বিয়েতে অপুর বাবা বিজয় চক্রবর্তী রাজি নন। অপু বাবাকে বুঝিয়ে নিজের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে ।
প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল সোনারগাঁ। সে সময় সুতা ব্যবসায়ের কেন্দ্র হিসেবে পানাম গড়ে ওঠে। পানাম নগরের নিরাপত্তার জন্য নগরের চারদিকে পরিখা খনন করা হয়। এর ফলে পানাম নগরের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি ব্যবসায় বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবেও সুপরিচিতি লাভ করে। সুলতানগণ এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করেন ।
নেপাল থেকে আসা মদন থাপা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে প্রায়ই তার সহপাঠীদের বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকে। সে মুসলমানদের আকিকা, খানা, বিয়েশাদি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যায়। আবার হিন্দুদের জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে উপলক্ষে বিভিন্ন রীতিনীতি পালন অনুষ্ঠানেও যায়। এ সমস্ত অনুষ্ঠানে খাবার তালিকায় মাছ, মাংস, পোলাও, রেজালা, কাবাব ইত্যাদি থাকে।
দৃশ্যকল্প-১ : রনি ও জনি দুই ভাই। পারিবারিক ব্যবসায় পরিচালনায় তারা একটি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। ব্যবসায় পরিচালনার দায়িত্ব থাকে রনির ওপর আর আর্থিক দিক দেখাশুনা করে জনি। জনি মাসিক খরচ হিসেবে রনিকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে ।
দৃশ্যকল্প-২ : রহমান সাহেব তার ১০০ বিঘা জমি কৃষকদের মাঝে বণ্টন করেন প্রথমে মাসিক মাসোহারা প্রদানের বিনিময়ে। কিন্তু এ ব্যবসায় লাভজনক না হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের মাঝে বণ্টন করে দেন।
টিভিতে একটি নাটকে প্রাচীনকালের প্রথা-অনুষ্ঠান দেখাচ্ছিল। এক পর্যায় দেখা গেল স্বামীর মৃত্যুর পর জীবন্ত স্ত্রীকে স্বামীর চিতায় পোড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে বাধ সাধেন এলাকার ব্রাহ্মণ পণ্ডিত কমল ব্যানার্জি। তিনি এটাকে প্রতিহত করতে নানা প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হন । সমাজে তাকে কোণঠাসা করে রাখা হয় । কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করে উক্ত প্রথা ভাঙতে সমর্থ হন। তার কাজে উৎসাহী হয়ে তার বন্ধু জগদীশ চৌধুরী নিজের ছেলের সাথে ঐ বিধবার বিবাহ দেন।
ফুলপুর ইউনিয়ন আয়তনে বড় হওয়ায় একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে এলাকার দেখাশুনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান ফুলপুর ইউনিয়নকে দুটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করেন এবং দুইজন, চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে জোড়ালো সমর্থন জানান। এক সময় তার প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং ফুলপুর ইউনিয়ন দুই ভাগে বিভক্ত হয়। দুই এলাকার উন্নয়নও সাধিত হয়। কিন্তু এতে বাধ সাধেন এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি ।