জনাব আলকাস সাহেবের স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান হোসেনকে নিয়ে তার পরিবার। তিনি হোসেনকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ঢাকার মানারাত স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি করেন এবং বাসায় ঠিকমতো তদারকিও করেন। তার স্ত্রী ছেলেকে প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে দেন এবং ছুটির পর সাথে করে বাসায় নিয়ে আসেন। আলকাস সাহেব ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে খান।
জনাব রহমত আলী 'সোনালি সংঘ' নামক একটি সংগঠনের প্রধান। তিনি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতামত নিয়ে সংগঠনটি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে তার বন্ধু রহমান 'রূপালি সংঘ' নামক আরেকটি সংগঠনের প্রধান। তিনি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতামতের প্রাধান্য দেন না। সংগঠনের তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলকাস মিয়া ভার নাতি আমিন ও সাইদুলকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বের রাতের ঘটনা বলতে গিয়ে তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছিল। এতে আমিন ও সাইদুল প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি আরও কালেন, আমরা যে ভাষায় কথা বলছি তারও একটি মর্মান্তিক ইতিহাস রয়েছে। সেই আন্দোলনের সূত্র ধরেই আমরা আজ স্বাধীন জাতি ।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার রাধাকোণা গ্রামের বাসিন্দা শেরধন অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে একটি বাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। বর্তমানে 'মুক্তিযুদ্ধ চত্ত্বর' যেটি সিলেট মৌলভীবাজার সড়কের মধ্যস্থানে শেরপুর নামক স্থানে অবস্থিত। যুদ্ধের সময় শেরধন কোনো একদিন সেখানে একটি গাছে ওঠে 'জয় বাংলা' স্লোগান দেওয়ার সাথে সাথে পাকিস্তানিরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তৎক্ষণাৎ তিনি নিহত হন।