মিঃ 'ক' একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি তার সহকর্মীদের পরামর্শক্রমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি তার সকল কাজ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিকট জবাবদিহি করেন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মিঃ 'খ' অপর একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে পরামর্শ করেন না বরং তার মতামত অন্যদের উপর চাপিয়ে দেন।
রহিম সাহেব নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মিডিয়া কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সর্বস্তরেই-গভর্নেন্স চালু করা, জনগণের তথ্য অধিকার ৬। নিশ্চিত করা, সরকারি অফিস আদালত, হাসপাতাল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ই-সেবা চালু করা তার প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন।
'ক' নামক রাষ্ট্রটিতে বর্তমানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এক সময় এখানকার কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী বর্ণবাদের শিকার হয়েছিল। শ্বেতাঙ্গদের সাথে তারা একই স্কুলে পড়াশুনা, একই ট্রেনে যাতায়াত ও একই মাঠে খেলাধুলা করতে পারতো না। কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের জন্য পৃথক আইন করা হয়েছিল। এ সবের প্রতিবাদে সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন। এ জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে কারাবরণ পর্যন্ত করতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই সব বৈষম্যের অবসান হয়েছে।
নাহিদ ঢাকা না গিয়েই গ্রামে বসে অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পূরণ করে। কিছুদিন পরে সে তার মোবাইলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও ভেন্যু সম্পর্কিত একটি এস.এম.এস পায়। অনলাইনভিত্তিক এই সেবা পেয়ে সে খুব খুশি হয়। কিন্তু তার বন্ধু রুবেল, নাহিদের মতো বিশেষ কাজে দক্ষ না হওয়ায়, সে ফরম পূরণ করতে পারেনি।
শিহাব ও সমিরের বাবা পদ্মা নদীর ফেরী চালক। তারা প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তাদের মতে পদ্মা সেতু হয়তো তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখবে না। কিন্তু শিহাব ও সমির টেলিভিশন দেখে জানতে পারে পদ্মা সেতুই দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইদানিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 'সততা' নামে ব্যতিক্রমধর্মী দোকান দেখা যায়। দোকানটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু দোকানে কোনো দোকানি থাকে না। ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দমত জিনিস নিয়ে এর গায়ে মূল্য দেখে দামটা একটি বাক্সে রেখে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য ।