জনাব আজিজ একজন স্কুল শিক্ষক। একদিন বিদ্যালয়ে পাঠদান করার সময় তাঁর শিক্ষার্থী শেয়ারের বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি 'ক' ও 'খ' নামক শেয়ার নিম্নলিখিত দুই ধরনের শেয়ার সম্পর্কে আলোচনা :
শেয়ার 'ক' : এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়া যায় ।
শেয়ার 'খ' : এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে প্রচুর আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ।
প্রাচীনকালে মানুষের চাহিদা ছিল খুব সীমিত। তখন মানুষ একটি দ্রব্য দিয়ে আরেকটি দ্রব্য গ্রহণ করত। পরবর্তীতে উক্ত প্রথার বিভিন্ন সমস্যার কারণে মুদ্রার আবির্ভাব হয়। মুদ্রা প্রচলনের পরপরই ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মুদ্রা ছাড়া যেমন ব্যাংক চলতে পারে না, তেমনি ব্যাংক ছাড়া মুদ্রার ব্যবহার সীমিত ।
'ক' ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে এবং সে আমানত অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে প্রদান বর্তমানে একজন ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদন করেন। তিনি ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও তার সরবরাহকৃত তথ্যাদি ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট সন্দেহজনক মনে হয়।
জনাব রহমান একজন নির্দিষ্ট আয়ের চাকরিজীবী। তিনি তাঁর অর্জিত আয়ের সব টাকা না করে প্রতিমাসে কিছু টাকা সঞ্জয় করেন। তিনি উক্ত অর্থ নিরাপদে জমা রাখার উদ্দেশ্যে একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন । ব্যাংক হিসাব খোলার পর সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করার উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাংকে হিসাব খোলার বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন।
মি. ফারুক ঈদ উপলক্ষে 'ক' থেকে কিছু নতুন টাকার নোট ভুলে আনলে তার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে প্রত্যেকটি মোটের উপর 'খ' ব্যাংকের নাম লেখা কেন তা জনাতে চায় তিনি তার ছেলের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'খ' ব্যাংক হচ্ছে দেশের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান । তাছাড়া এই ব্যাংক তার অধীনস্থ 'ক' ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকসমূহের ঋণ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যাবলিতে সহায়তা করে থাকে।