এম. কম পাস শামীম চাকরির পেছনে না ঘুরে যাবার ৫ একর কৃষি জমিতে বহুমুখী প্রকল্প গড়ে তোলেন। শামীম বীজ, সার, গরু, পোনামাছ ও কিছু খামার সরঞ্জাম কেনার জন্য 'যুব উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ৫ বছর পর তার খামার বড় হলে তিনি 'যুব উন্নয়ন ব্যাংক' এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংক ABL হতেও ঋণ গ্রহণ করে একটি হিমাগার স্থাপন করেন। উক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের ফলে তাকে কর কম প্রদান করতে হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থায়ন করে শামীম সফলকাম হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
জনাব আলম একজন সুশিক্ষিত সফল বিনিয়োগকারী। নতুন নতুন প্রযুক্তি তিনি সবসময় ব্যবহার করেন। তিনি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণয়নের সময়ই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঘটনাসমূহ বিচার-বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আবার পণ্যের বাজার চাহিদা সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করে, একাধিক পণ্য ছাড়েন। এভাবে তিনি ঝুঁকি মোকাবিলা করতে সফল হয়েছেন। আলম সাহেবের 'তিস্তা' প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে অর্জিত মুনাফার হার ছিল যথাক্রমে ১২%, ১৪%, ৮%, ৭% এবং ৬%।
জনাব সোহাগ যমুনা প্রকল্পে ৫,০০,০০০ টাকা ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন। আগামী ৫ বছর মেশিনগুলো থেকে প্রাপ্য নিট মুনাফা প্রাক্কলন করা হয় যথাক্রমে ১ম বছর ৬০,০০০ টাকা, ২য় বছর ৭০,০০০ টাকা; তৃতীয় বছর ৭৫,০০০ টাকা; ৪র্থ বছর ৮০,০০০ টাকা এবং ৫ম বছর ৮৫,০০০ টাকা জনাব সোহাগ সরলরৈখিক পদ্ধতিতে প্রকল্পটির অবচয় ধার্য করে থাকেন।
"HF" গ্রুপ কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মূলধন ২০০ কোটি টাকা ঋণ মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন ১০০ কোটি টাকা। ঋণকৃত মূলধনের সুদের হার ১০% ও অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশের হার ৮%। শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ২৫৫ টাকা ও ১১০ টাকা। কোম্পানি 'এ' বছর সাধারণ শেয়ীরমালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৪% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করের হার ৪০%।
দৃশ্যকল্প-১: ABC কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিবছর শেয়ারপ্রতি ১০% হারে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বর্তমান বছর কোম্পানিটিতে পূর্বের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় অনুপাতে স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
দৃশ্যকল্প-২ : রুপম ও জুয়েল দুজনেই প্রায় একই ধরনের ২টি বড় স্বনামধন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। রুপমের কোম্পানি জমি জামানত হিসেবে দিয়েছে, কিন্তু জুয়েলের বিনিয়োগে সে ধরনের সুযোগ নেই।
RADB ও IBL ব্যাংক দুইটি যথাক্রমে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়ন ও ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত হলেও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে সেবা প্রদানের মিল আছে। RADB ব্যাংকটি কৃষকদের সুবিধাজনক শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান ও বিভিন্ন পরামর্শ দান করে থাকে। অপরদিকে IBL ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের কিছু বিশেষ পণ্য বা সেবা পাওয়ার সুযোগ দেয়।
'ধরলা ব্যাংক' বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালনকারী একটি ব্যাংক। ব্যাংকটি বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ধরলা ব্যাংক ব্যবসা হতে বিভিন্নভাবে আয় করে থাকে। ব্যাংকটি আমানত গ্রহণ ও সুদ প্রদান, মূলধন গঠনের মাধ্যমে দেশের শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করে থাকে।
জনাব স্বপন সহকারী শিক্ষক পদে সরকারি স্কুলে যোগদান করার পর জানতে পারলেন তার বেতন ও ভাতা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হবে। তাঁর কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকায় তিনি একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে সাথে নিয়ে স্থানীয় একটি ব্যাংকে গেলেন। ব্যাংক অফিসার তাকে প্রথমেই গ্রাহক পরিচিতি ফরম পূরণ করতে বলেন। সবশেষে স্বপন সাহেবের হিসাব খোলা হয়ে গেলে, ব্যাংক ম্যানেজার তাকে ১টি প্লাস্টিক কার্ড হাতে দিয়ে বলেন, “গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত ও গতিশীল করতে আধুনিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।”
আমিনুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পড়াশুনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে দিনাজপুরে যোগদান করেন। তিনি স্থানীয় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে হিসাব খুলে লেনদেন করতে থাকেন। আমিনুল ১ বছরের জন্য বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য যান। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি তাঁর কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং কিছু টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে জানান তাঁর হিসাবটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি আবেদনের মাধ্যমে হিসাবটি পুনরায় চালু করে ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।