রাষ্ট্রপতি সরকারের একটি বিভাগের ব্যক্তিবর্গকে নিয়োগ দিতে পারেন। তাদের বিজ্ঞতা, সাহসিকতা ও সততার উপর ঐ বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভর করে। সেই সাথে প্রয়োজন তাদের জন্য উপযুক্ত বেতন, ভাতাদি, পদোন্নতি এবং সামাজিক মর্যাদা। আইনগতভাবে ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ না থাকলে উক্ত বিভাগ ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার সংরক্ষণ করতে পারে না।
তরুণ উদ্যোক্তা রহমান ও রহিম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কারবার শুরু করেন। রহমান কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিনিয়োগ করেন। তিনি প্রতি মাসে লাভ থেকে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেন। তিনি আজ বড় কারখানার মালিক। তিনি নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। অন্যদিকে রহিম ঋণের টাকা ফটকা কারবারে বিনিয়োগ করেন এবং অনেক টাকা লাভ করেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করেন নি। ব্যাংকে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালত তাকে সুদসহ সমুদয় অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেন এবং দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
সুধীর শীল দারিদ্র্যের কারণে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন নি। কিন্তু তার আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে তিনি খুবই জনপ্রিয়। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নাগরিকতা ও সুশাসন বিষয়ক জ্ঞানের অভাব বোধ করেন। তিনি অধ্যাপক হামিদুল আলমের কাছে এ বিষয়ে পরমার্শ চান। জনাব আলম তাকে এমন বই পাঠ করতে বলেন, যেখানে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য, সরকারের ধরন ও কার্যাবলি এবং সুশাসন সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আপনি এই বই থেকে ইতিহাস এবং স্থানীয় প্রশাসন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
নির্বাচনের 'ক' প্রার্থী বিশাল জনসভায় বলেন, সংখ্যা- গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। আপনাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে আমি জয়ী হবো না পরাজয়ী হবো। জয়-পরাজয় যাই হোক তা আমি মেনে নেব। এমনকি বিরোধী দলের, যৌক্তিক পরামর্শ আমি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সংবিধানের ভিত্তিতে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই আমার লক্ষ্য।
থাই হাতু ও এন্ডারসন একই অফিসে কাজ করেন। হাতুর দেশের সরকার প্রধান আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিপরিষদ আইনসভার নিকট জবাবদিহি করেন। এখানে আইনসভার একজন সদস্য মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন। রাষ্ট্রপতি নয়, সরকার প্রধানই প্রকৃত ক্ষমতার চর্চা করেন। আবার এন্ডারসনের দেশের সরকার প্রধান প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি সরাসরি তার কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করেন। এখানে আইনসভার কোনো সদস্য শাসন বিভাগের সদস্য নয়। তবে সরকারের যে কোনো আয়-ব্যয়ের বিল আইন সভায় পাস করতে হয়।
জাতীয় নির্বাচনে জর্জ কিলম্যান একজন দলীয় প্রার্থী। নির্বাচনি এলাকায় তিনি সভা-সমাবেশ করছেন। সমাবেশে তিনি দলীয় প্রতীক, ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট ব্যবহার করছেন। প্রচারণায় তিনি দলের আগামী দিনের উন্নয়ন কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এছাড়া তিনি এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি বার বার বলছেন, গণতন্ত্রের জন্য আমার দলের বিকল্প নেই ।
গার্মেন্টস শ্রমিক সুমন জানতে পারে ঘরে বসে অনলাইনে পেশাগত শিক্ষা অর্জন করা যায়। তাই সে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করে। ভর্তির জন্য সে অনলাইনে অর্থ প্রদান করে। সে মুহূর্তেই জানতে পারে কোন খাতে তার কাছে কত টাকা নেওয়া হয়েছে। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে ই-মেইলে উত্তর পায়। সুমন আজ অল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষা গ্রহণ করছে।
দেশীয় নানা প্রজাতির মাছের বাস রক্তদহ বিলে। কিন্তু আজ তা বিলুপ্তির পথে। শিক্ষিত রবিন এই বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। নির্বাহী অফিসার বলেন, আপনি জেলা পরিবেশ দফতরে আবেদন করেন। পরে রবিন পরিবেশ দফতরে আবেদন করেন। দফতরের কর্মকর্তা বলেন, যথানিয়মে তা ঘোষণা করা হবে। কিছু দিন পর রবিন আবার পরিবেশ দফতরে যান। এবার কর্মকর্তা বলেন, ঐ আবেদনে এলাকাবাসীর স্বাক্ষর লাগবে। রবিন এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে পুনরায় আবেদন করেন। পরবর্তীতে রবিন আবার দেখা করলে কর্মকর্তা বলেন, ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে ৮ ঘোষণা হবে। আপনি ঢাকায় খোঁজ নেন। রবিনের স্বপ্ন আজ ফ্যাকাশে।