মাহিম একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি ২০ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে শেয়ার ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি সমুদয় অর্থ নিয়ে 'A' কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করেন। কিন্তু হঠাৎ শেয়ারের দরপতন হলে মাহিমের লাভের পরিবর্তে মূলধন হ্রাস পেল। এমতাবস্থায় তিনি একজন বিনিয়োগ পরামর্শদাতার কাছে গেলে মাহিমকে পরবর্তীতে একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি হানিফ সাহেব ব্যবসায় করার উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে ১০% সুদে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। শর্তমতে তাকে প্রতি ৪ মাস অন্তর সুদ পরিশোধ করতে হবে । হানিফ সাহেবের দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। X প্রকল্প থেকে আগামী বছরে সম্ভাব্য আয়ের হার যথাক্রমে ২০%, - ১০%, ৫% এবং ২৫%। অন্যদিকে Y প্রকল্পের আগামী ৫ বছরের সম্ভাব্য গড় আয় ১৫% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ১৪.২০% ।
ফারহানা লি.-এর মোট মূলধন ১০ লক্ষ টাকা। সাধারণ শেয়ার ব্যয় ১৫%, ঋণপত্রের বায় ১০% এবং অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশের হার ১০%। মোট মূলধনের বিভিন্ন উৎসের স্তরবিন্যাস নিম্নরূপ-
উৎস | পরিমান (টাকা) |
সাধারণ শেয়ার | ৫,০০,০০০ |
গ্রাধিকার শেয়ার | ৩,০০,০০০ |
ঋণপত্র | ২,০০,০০০ |
প্রতিটি অগ্রাধিকার শেয়ারের লিখিত মূল্য ও বাজারমূল্য যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ১২০ টাকা। কোম্পানির করের হার ৩০%।
'ক' ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে স্বল্প হার সুদে অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে এবং সে আমানত অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে অধিক সুদে ঋণ হিসাবে প্রদান করে। বর্তমান জামাল নামে একজন ব্যবসায়ী উক্ত ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করেন। তিনি ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম তবে গ্রহণের সময় একজন হিসাবে যে সকল তথ্যাদি দেওয়ার কথা তা দেখে ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট সন্দেহজনক মনে হয়।