'স্মৃতি' লিমিটেড একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নিট মুনাফার কিছু অংশ দ্বারা একটি বিশেষ তহবিল গঠন করে। ব্যবসায়টি আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি উক্ত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু বিভিন্ন বছরের লভ্যাংশ প্রদান ভিন্ন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সুনাম ধরে রাখতে পারছে না তাই উক্ত প্রতিষ্ঠান মুনাফার কিছু অংশ দ্বারা অন্য একটি তহবিল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে প্রতিবছর সমহারে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে।
জনাব অসীম ৫ বছর পর ৬,০০,০০০ টাকা পাওয়ার আশায় বার্ষিক ৮% হার সুদে বর্তমানে কিছু টাকা পলাশ ব্যাংকে জমা রাখেন। অপরদিকে তার বন্ধু শরীফ পেনশনের ৫,০০,০০০ টাকা ৫ বছরের জন্য ব্যাংকে জমা রাখতে চাইলে জনাব অসীম তাকে পলাশ ব্যাংকে রাখার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সময় পর তিনি ৭,৩৪,৬৬৪.০৪ টাকা পেতে পারেন। কিন্তু শিমুল ব্যাংক তাকে ৭% হার সুদে মাসিক চক্রবৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় ।
জনাব আফরিন 'অগ্নিশিখা লিমিটেড' এবং 'রূপকথা লিমিটেড' নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিতে ১০ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করেন। নগদ অর্থের প্রয়োজনে ঝুঁকি বিবেচনা করে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। কিন্তু যুক্তিসংগত মূল্যে তা বিক্রয় করতে পারছেন না। 'রূপকথা লিমিটেডের' শেয়ারের গড় আয় ১০% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৭৮% । 'অগ্নিশিখা লি.' এর বিগত ৫ বছরের আয় হার নিম্নরূপ :
নাম | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ |
অগ্নিশিখা লিমিটেড | ১২% | ১৫% | ১০% | ৭% | ৬% |
জনাব বিপুল 'সোহা' ও 'নূহা' নামে দুটি প্রকল্পের যেকোনো একটিতে ১,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে চান। সোহা প্রকল্পের ৫ বছরের প্রাক্কলিত করযোগ্য মুনাফা যথাক্রমে ১৫,০০০ টাকা, ১৮,০০০ টাকা, ১২,০০০ টাকা, ১৪,০০০ টাকা এবং ১০,০০০ টাকা। করহার ১০% এবং বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা। নূহা প্রকল্পের পে-ব্যাক সময় ২.৫ বছর।
'প্রিয়ন্তি লিমিটেড' সাধারণ এবং অগ্রাধিকার শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে। সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪০ টাকা এবং লিখিত মূল্য ১০০ টাকা। কোম্পানিটি সদ্য সমাপ্ত বছরের প্রতিটি সাধারণ শেয়ারে ১৩ টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়। অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানির লভ্যাংশ গড়ে ৪% হারে বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানটি ১,০০০ টাকা লিখিত মূল্যের ১২ শতাংশ অগ্রাধিকার শেয়ার বিক্রি করেছে। যার বাজারমূল্য ৮১০ টাকা। ব্যবসায় সম্প্রসারণে অর্থ প্রয়োজন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি কম মূলধন ব্যয়সম্পন্ন আরও কিছু শেয়ার বিক্রয়ের চিন্তা করছে।
সোহেল তার গচ্ছিত অলস টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান। এক্ষেত্রে তার বন্ধু কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত বিভিন্ন বিনিয়োগ হাতিয়ারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধে তাকে অবহিত করেন। সোহেল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভ কম হলেও লোকসানের তেমন ঝুঁকি নিতে চান না। তাই তিনি জামানত গ্রহণসাপেক্ষে বিনিয়োগ করেন। নির্দিষ্ট সময় পর অধিক লাভবান হওয়ার আশায় তার বিনিয়োগটিকে অন্য একটি বিনিয়োগ খাতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
জনাব ফারজানা নারায়ণগঞ্জে কম্পিউটার তৈরির কারখানা স্থাপন করেন যার প্রধান অফিস মতিঝিলে। তিনি জাপান থেকে কম্পিউটার ক্রয় করে থাকেন। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ক্ষেত্রে 'আদর্শলিপি' ব্যাংক রপ্তানিকারককে জনাব ফারজানার পক্ষ থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য সুবিধাও দিয়ে থাকে। 'আদর্শলিপি' ব্যাংকের প্রধান অফিস ঢাকার মতিঝিলে হলেও নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রামে তাদের অফিস রয়েছে। ফলে ফারজানার ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদনে সমস্যা হয় না।
আনিকার 'ফুলকলি ব্যাংকে একটি হিসাব রয়েছে। ব্যাংক তাকে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য একটি ইলেকট্রনিক কার্ড সরবরাহ করে। কলেজে ভর্তির ফি বাবদ ২,৫০০ টাকার প্রয়োজন হলে সে একটি যন্ত্র হতে তা করে। অপরদিকে তার বান্ধবী। সামিয়ার উক্ত ব্যাংকে হিসাব না থাকলেও ব্যাংক তাকে একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ইস্যু করে। ঈদ উপলক্ষ্যে তারা উভয়েই স্ব-স্ব কার্ডের সহায়তায় নগদ টাকা ছাড়াই কেনাকাটা সম্পন্ন করে ।