জনাব তন্ময় ও অন্তিক দুই ভাই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ৫০,০০০ টাকা করে পান যা তারা দুটি ভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেন । তন্ময়ের বিনিয়োগ ক্ষেত্র : সরকারি ট্রেজারি বন্ড ক্রয় যা থেকে তিনি বৎসরে ৫,০০০ টাকা করে সুদ পান।
অন্তিকের বিনিয়োগ ক্ষেত্র : ABC কোম্পানি থেকে শেয়ার ক্রয় যা থেকে প্রথম তিন বছরে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ৪,৫০০ টাকা, ৪,০০০ টাকা, ৩,৫০০ টাকা।
জনাব সাত্তার একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে 'অফশোর লিমিটেড' এর শেয়ার ক্রয় করেছেন। 'অফশোর লিমিটেড' এর মতো একটি বিখ্যাত কোম্পানির মালিক পক্ষ হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন। জনাব রাকাও একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। তিনিও অফশোর লিমিটেড' এর ২ লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছেন। তিনি নির্দিষ্ট হারে আয় পেলেও জনাব সাত্তারের মতো গর্ববোধ করতে পারেন না।
জনাব জুয়েল ফিন্যান্সের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ না করেই নিজ বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে জুতা তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। এতে প্রথম ৩ বছরে চলতি ও স্থায়ী খরচ এবং অবচয় বাদ দেওয়ার পর আয়ের অবস্থা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮,০০০/-, ( 2,500/-), (১,৯০০/-)। ফলে তিনি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হন। অপরদিকে জনাব মেহেদী তার নিজ এলাকায় ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে শিশু পোশাক তৈরির কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অনুমান করলেন ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বছরে আয় হতে পারে যথাক্রমে ৮০,০০০/-, ১৫,000/-, ১,৩৫,০০০/- ও ২,০০,০০০ টাকা। জনাব মেহেদী বিনিয়োগকৃত টাকা ৪ বছরের মধ্যেই ফেরত পাবেন বলে অনুমান করছেন।
'নিবেদিতা' কোম্পানির ১০০ টাকা মূল্যের ১০ লক্ষ শেয়ার আছে এবং কোম্পানি প্রতিবছর শেয়ার প্রতি ১৫ টাকা ও ২১ অনুপাতে লভ্যাংশ প্রদান করে। অপরদিকে 'শতাব্দী' কোম্পানি এর ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি শেয়ার আছে এবং কোম্পানি প্রতিবছর শেয়ার প্রতি ১২ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করে। মি. আরমান নিবেদিতা কোং-এর ৭৫০টি শেয়ার ব্রুয় করেছেন।