ওয়াসফিয়া কোং লি. একটি বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করে ২০,০০,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম করে। ভবিষ্যতে ঔষধের মূল্য হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আছে বিধায় প্রতিষ্ঠানটি ঔষধ শিল্পের পাশাপাশি ভোগ্যপণ্য, টেক্সটাইল এবং স্টিল ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূলধন বিনিয়োগ করে। প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক বিক্রয়লব্ধ অর্থ বেশি লাভের আশায় সমতা ব্যাংকে ১৪% সুদের হারে জমা রাখে। ফলে কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে হিমশিম খেতে হয়।
জনাব হাবিবা তিতাস ব্যাংক থেকে ৫,০০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মা বস্ত্রালয়' নামে একটি ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিতাস ব্যাংক এক পর্যায়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে। অপরদিকে হাবিবার বড় ভাই জনাব হাবিবুল্লাহ শাপলা ও গোমতি প্রকল্পের যেকোনো বিনিয়োগ করতে চান। শাপলা প্রকল্পের সম্ভাব্য ৫ বছরের আয় যথাক্রমে ১৫%, ১০%, -৭%, ১৮% ও ২০%। অপরদিকে গোমতি প্রকল্পের গড় আয় ১১.২% ও আদর্শ বিচ্যুতি ১৪.৮%।
ABC কোম্পানির হাতে দুটি প্রকল্প রয়েছে। প্রত্যেক প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০,০০০ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর। জুঁই প্রকল্প থেকে আগামী ৪ বছরের প্রাক্কলিত আয় যথাক্রমে ৪০,০০০ টাকা, ৬০,০০০ টাকা, ৫০,০০০ টাকা ও ৮০,০০০ টাকা। চলতি খরচ আয়ের ২০%, স্থায়ী খরচ ৫,০০০ টাকা এবং কর অপরদিকে, বেলি প্রকল্পের কর পরবর্তী মুনাফা ৪,০০০ টাকা, ৫,০০০ টাকা, ৮,০০০ টাকা ও ৬,০০০ টাকা। বেলি প্রকল্পের গড় মুনাফার হার ১৯.১৭% ।
আমিন স্টিল ফার্নিচার ফ্যাক্টরি একটি নতুন শো-রুম চালু করতে ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ফ্যাক্টরির মালিক একটি ব্যাংকে যোগাযোগ করেন। উক্ত ব্যাংক থেকে তাকে নিম্নোক্ত দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয় :
i. ১৩% হার সুদে ৫ বছর মেয়াদি ভোক্তা ঋণ ।
ii. বার্ষিক ১০% হার সুদে ১০ বছর বন্ধকি ঋণ ।
মালিক কারখানার দলিল জামানত রেখে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং অর্থ সংগ্রহ করেন।
জনাব সাজিদ সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রাপ্ত ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা তিনি সনি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদান করে যাতে কোম্পানির নগদ অর্থ ব্যয় না হয়ে মূলধন বৃদ্ধি পায় এবং শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। জনাব সাজিদ বাকি ৫ লক্ষ টাকা খাতে বিনিয়োগ করতে চান, যাতে আয় কম হলেও তা যেন ঝুঁকিমুক্ত হয়। তার নিকট দুটি কোম্পানির বিনিয়োগ হাতিয়ার রয়েছে। পদ্মা লি. জনাব সাজিদকে তাদের বিনিয়োগ হাতিয়ারে বিনিয়োগ করলে জামানত দিবে এবং অন্যান্য পাওনাদারদের পূর্বে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে জবা লি. কোনো ধরনের জামানত প্রদান ছাড়াই নির্দিষ্ট হারে সুদ দিবে এবং কোম্পানির অবসায়নকালে অন্যান্য পাওনাদারের দাবি পরিশোধের পরে তার দাবি পরিশোধের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জনাব সাজিদ ভবিষ্যতে কেম্পানির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব মতামত দিতে চান ।
মুন কোম্পানির একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের জন্য ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তাদের ২২ লক্ষ টাকা বার্ষিক ১০% হার সুদে সঞ্চিতি তহবিল হিসেবে ব্যাংকে জমা আছে। ব্যাংক হতে উক্ত টাকা উত্তোলন করে নতুন প্রকল্পটি গ্রহণ করা যেত। কিন্তু কোম্পানি বার্ষিক ১৩% হার সুদের ৫ বছর মেয়াদে ২০ লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে প্রকল্পটি চালু করে। মুন কোম্পানির কর হার ৩০%। বর্তমান বছরে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১২ টাকা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে। প্রতিবছর লভ্যাংশ প্রদানের বৃদ্ধির হার ৮%। সাধারণ শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১৪০ টাকা।
পাঁচ বন্ধু একত্রিত হয়ে কুমিল্লায় B নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা B ব্যাংকটি A ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গঠিত হয়। A ব্যাংক B ব্যাংকসহ দেশের অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে ব্যাংকিং কার্যক্রমে সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরামর্শ দিয়ে থাকে। B ব্যাংকের প্রত্যেক সদস্য একে অপরের দায়-দেনা বহন করতে বাধ্য থাকে।
জুবায়ের একজন চাকরিজীবী। তিনি শহরে থাকেন। এলাকায় কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় তিনি বাসা থেকে অনেক দূরে গিয়ে সুগন্ধা' নামক ব্যাংকে হিসাব খোলেন। ব্যাংকটিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জুবায়ের বাসায় বা অফিসে বসেই ব্যাংক লেনদেনের তথ্য জানতে পারেন। উক্ত ব্যাংক থেকে তিনি জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে টাকা উঠাতে পারেন। ফলে ব্যাংকটির সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়।
সরকারের সব ধরনের রাজস্ব যেমন : আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক ইত্যাদি আদায় হওয়ার পর D ব্যাংক জমা রাখে। সরকার D ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে। C ব্যাংক আর্থিক সংকটে পড়লে অন্য কোনো ব্যাংকে অর্থ না পেয়ে D ব্যাংকের কাছে গেল। C ব্যাংকের আমানতের একটা অংশ D ব্যাংকের নিকট জমা থাকায় D ব্যাংক প্রয়োজনীয় অর্থ C ব্যাংককে দিল।
জনাব জামাল উদ্দীন একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি ২০০৮ সালে মিতালি ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত ব্যাংকে টাকা জমা দিচ্ছেন এবং উত্তোলন করছেন। ২০১০ সালে তিনি বাড়ি নির্মাণের সময় জমির দলিল বন্ধক রেখে মিতালি ব্যাংক হতে ৬০ লক্ষ টাকা ৫ বছরে পরিশোধের শর্তে ঋণ গ্রহণ করেন। জনাব জামাল উদ্দীপনের অবহেলার কারণে মিতালি ব্যাংক আদালতের মাধ্যমে বাড়ির মালিকানা লাভ করেন ।
জনাব আহসান গোমতি ব্যাংক লি.-এর একজন গ্রাহক। ব্যাংকটি ২০০৫ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৮২টি শাখা খোলার মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনাব আহসান তার বেশির ভাগ ব্যাংকিং কার্যক্রম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় করে তাকে চট্টগ্রাম শাখা ৯% সুদের হারে ৫ লক্ষ টাকা ৩ বছরের জন্য প্রদান করে। তিনি যখন রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে লেনদেন করেন ব্যাংক তখন। নগদ টাকার পরিবর্তে চেক, ব্যাংক ড্রাফ্ট ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে। আবার চীন থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রত্যয়পত্র ব্যবহার করেন। ফলে জনাব আহসানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।