ইলেকট্রিক সামগ্রী বিক্রেতা জনাব নাসির উদ্দিন সম্প্রতি ব্যবসায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য তিনি রূপসা কোম্পানি থেকে ১,৫০০টি সিলিং ফ্যান ধারে ক্রয় করেন এবং তার বন্ধু রূপকের কাজ থেকে ৪ মাসের জন্য ঋণ নিয়ে আরেকটি শো-রুম স্থাপন করেছেন। কিন্তু বন্ধু ৪ মাস পর ঋণের টাকা ফেরত চাইলে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
মধুমতি কোম্পানি লি.-এর মূলধন কাঠামো নিম্নরূপ :
সাধারণ শেয়ার ২০,০০,০০০ টাকা
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার ৫,০০,০০০ টাকা
১৪% ঋণপত্র ১৫,০০,০০০ টাকা
কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করছে যা ভবিষ্যতে ৫% হারে বৃদ্ধি পাবে, কর হার ৩০% । প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গড় মূলধন ব্যয় ১০% হবে বলে ধার্য করেছেন।
রূপসা ব্যাংক বৈধ অনুমোদন নিয়ে ২০১৫ সালে গঠিত হয়। এ ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে সময় সংগ্রহ ও রূপদানে নিয়োজিত। ব্যবসায়ী জনাব মোস্তফা তার ব্যবসায় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের জন্য রূপসা ব্যাংকের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ব্যাংক তার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে তিনি তার ব্যবসায়ের সুনাম, সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদনশীলতা ও লাভজনকতার তথ্য পেশ করেন। রূপসা ব্যাংক এ তথ্যগুলো যাচাই-বাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ঋণ মঞ্জুর করে।
কলেজ শিক্ষিকা জনাব হালিমা আক্তার বর্তমান সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তার গহনাসমূহ ও মূল্যবান দলিলপত্র নিয়ে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ কামনা করেন। সেখানে তাকে যে পরামর্শ দেয় তা তিনি গ্রহণ করেন। তিনি ফ্লাট ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ নিয়ে বসুন্ধরা যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। ফলে তিনি তার নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের শিকার হন।
জনাব সজীব একজন ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধে সমস্যায় পড়েন। লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে জনাব 'ক' ব্যাংক উক্ত বিলগুলো নিয়মিতভাবে পরিশোধ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ‘ক’ ব্যাংক জনাব সজীবকে নিয়মিত ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। অপরদিকে সজীবের দুটি চেকের টাকা ঐ ব্যাংক যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেনি। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ব্যাংকের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ।
'A' ও 'B' দুটি ব্যাংক। B ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ে 'A' ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে উপদেশ ও পরামর্শ থাকে। সম্প্রতি A ব্যাংকটি গ্রাহক সংকটের সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় তাদের ব্যাংকের গ্রাহকদের বিভিন্ন তথ্য ফাঁসের এবং চেকের টাকা চাহিদামাত্র পরিশোধে ব্যর্থতার খবর প্রকাশিত হয়। A ব্যাংক এ বিষয়ে B ব্যাংকের পরামর্শ চাইলে নিচের তিনটি পরামর্শ পায় :
i. গ্রাহকের ব্যক্তিগত যেকোনো তথ্য প্রকাশে অধিকতর সতর্কতা ও কঠোরতা অবলম্বন।
ii. গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বৃদ্ধিকরণ।
iii. পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সংরক্ষণ।