'আরাধ্যা এন্টারপ্রাইজ' তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করল। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে উক্ত প্রকল্প থেকে বিক্রয় বাবদ আগামী তিন বছরে যথাক্রমে ১২ লক্ষ, ১৩ লক্ষ ও ১৫ লক্ষ টাকা অর্জিত হবে। উক্ত প্রকল্পে প্রতিবছর চলতি খরচ বাবদ ব্যয় হবে ৪০%। এছাড়া স্থায়ী খরচ প্রতিবছর ৩ লক্ষ টাকা, অবচয় ২ লক্ষ টাকা এবং কর ৩০% অনুমান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঝুঁকি হ্রাসের চিন্তা করে বাজারে নতুন পণ্য ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মিসেস রুবিনা সম্প্রতি যমুনা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছা এ হিসাবে মেয়ের বৃত্তির টাকা এবং সংসার খরচ থেকে বাঁচানো উদ্বৃত্ত টাকা জমা রাখবেন। রুবিনার বান্ধবী সীমার ভাই সৌদি আরবে থাকেন। সম্প্রতি সীমা ঢাকায় রুবিনার বাসায় বেড়াতে এসে জানতে পারেন যে, ভাই সোনালী ব্যাংকে যশোর শাখায় সীমার হিসাবে কিছু টাকা পাঠিয়েছে। সীমা, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঐ টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক অপারগতা প্রকাশ করে। অথচ তার নগদ টাকার প্রয়োজন ছিল।
রবিন এন্টারপ্রাইজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০,০০,০০০ টাকার একটি মেশিন চীনের চুংওয়া কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক। মেশিনটি কেনার জন্য রহিম ট্রেডার্স থেকে প্রাপ্ত ১২,০০,০০০ টাকার অঙ্গীকারপত্রটি স্টার ব্যাংকে হস্তান্তর করে ১০,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করেন এবং ঐ ব্যাংক থেকেই ২০,০০,০০০ টাকা ঋণ নেন এবং বাকি অর্থ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবস্থা করেন। স্টার ব্যাংক প্রয়োজনীয় ডলার সংগ্রহ ও আনুষঙ্গিক দলিল প্রস্তুত করে মেশিনটি ক্রয়ে সহায়তা করার ফলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
জনাব অসীম একজন রপ্তানিকারক। তিনি বিদেশে রপ্তানিকৃত পণ্যের লেনদেন সম্পর্কে নিরাপত্তা পেতে প্রথমে শাপলা ব্যাংকের নিকট গেলেন। তারা জানায় আমরা সকল ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করলেও এ বিষয়ে কাজ করি না। পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত শালুক ব্যাংকের নিকট পরামর্শ ও সহায়তা চাইলে, তারা সহায়তা ও পরামর্শ দিতে চাইল। শালুক ব্যাংকের সহায়তার পরপরই অসীম বিদেশে পণ্য রপ্তানি করল।