জনাব রায়হান ঢাকার ইসলামপুরের একজন পাইকারি কাপড় বিক্রেতা। তিনি ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ থেকে শাড়ি কাপড় ও থ্রি-পিস ক্রয় করে বিক্রি করেন। এছাড়াও তিনি নগদ অর্থে শীতবস্ত্র ক্রয় করে তা বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি একটি স্থানীয় এতিমখানায় এতিম বাচ্চাদের জন্য বেশকিছু কাপড় ও অর্থ সাহায্য দিয়েছেন।
সালাম সাহেব অবসরকালীন সময়ের প্রাপ্ত অর্থ ১০% সুদে ‘ভরসা’ কোম্পানির জামানতহীন ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর তিনি ব্যবসা করার জন্য ডিবেঞ্চারগুলো বাজারমূল্যে বিক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি উক্ত টাকা 'রূপন্তি' ও 'প্রকৃতি' নামক দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান। 'রূপন্তি' প্রকল্পের বিগত ৫ বছরের আয়ের হার ৫%, - ৫%, ১৫%, ৩০%। অপরদিকে 'প্রকৃতি' প্রকল্পের গড় আয় ১৩% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ১৫%।
জনাব মাহি তার টাকা এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান তিনি কোম্পানির মালিকানা পাবেন। মুনাফাসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনি শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। অপরদিকে তার বন্ধু আলম সাহেব এমন কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ করেন যেখানে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেলেও কোম্পানির মালিকানা পাননি। এজন্য তিনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।
নাসিফ একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য তিনি ‘গোমতী ব্যাংক’ থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে 'গোমতী, ব্যাংকে' একটি হিসাব খোলার জন্য পরামর্শ দেন। কারণ ঋণের টাকা ঐ হিসাবেই জমা করা হবে। নাসিফ সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটি গোমতী ব্যাংকের একটি প্রধান কাজ।
জনাৰ 'শীতল ব্যাংকের একজন গ্রাহক। তিনি শীতল ব্যাংক ৫ বছরের জন্য ১,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং পরিশোধও করেছেন। অন্য এক গ্রাহক জনাব বাতেন দীর্ঘদিন ধরে ঋণ করেননি। ব্যাংক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তার পক্ষে ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়। তাই ব্যাংক তার সাথে সম্পর্কের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ABC ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব খায়রুল আলম ব্যাংকের আয় বাড়ানোর জন্য অধিক মাত্রায় ঋণ প্রদান শুরু করেন। প্রথম দিকে ভালো মুনাফা করলেও ব্যাংকটি এক সময় তারল্য সংকটে পড়ে। ব্যাংকটি আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য PC ব্যাংকের শরণাপন্ন হলে তাদের সহায়তায় ABC ব্যাংক দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পায় ।