পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সেতু। এ সেতু চলাচলের উপযোগী হলে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে বলে প্রত্যাশা সবার। এ প্রকল্পের জন্য সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে অর্থায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করলে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকতে সরকার এ রকম প্রকল্পে অর্থায়ন করেন।
জনাব রাবেয়ার হাতে দুটি প্রকল্প রয়েছে যেগুলোর বিভিন্ন তথ্য নিম্নে প্রদত্ত হলো-
পূর্বানুমান | রিম | ঝিম |
১ম বছর বিক্রয় | ১,০০,০০০ | ১,৫০,০০০ |
২য় বছর বিক্রয় | ২,০০,০০০ | ১,৭৫,০০০ |
৩য় বছর বিক্রয় | ৫,০০,০০০ | ৫,৫০,০০০ |
স্থায়ী খরচ | ৪০,০০০ | ৪৫,০০০ |
চলতি খরচ (চলতি বিক্রয়ের %) | ৩০% | ৩০% |
কর হার | ৪০% | ৪০% |
প্রকল্প দুটির মেয়াদকাল ৩ বছর এবং প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য ৭,০০,০০০ টাকা করে প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ব্যাংকিং জগতের মুরুব্বি হিসাবে 'A ব্যাংক' এ বছর R, D ও M নামক তিনটি ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি দেয়। উক্ত ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে দেশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে। R ব্যাংক সংগৃহীত আমানত বিনিয়োগে কোনো প্রকার যাচাই বা পর্যালোচনা করেনি। ফলে ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে পড়ে। গ্রাহকদের বিভিন্ন আর্থিক পরামর্শ প্রদান করে জনগণের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করে স্থান করে নিয়েছে।
জনাব রহমান একজন চাকরিজীবী। দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে তিনি প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা বন্ধু ব্যাংকে রাখেন। বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি ছেড়ে জমানো টাকা দিয়ে প্রয়োজনে বন্ধু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করলেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসতে শুরু করল ।