বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল ও যশোর-খুলনা অঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার 'পদ্মা সেতু' নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। নদীর নাব্যতা ও প্রাকৃতিক কিছু কারণে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। ফলে পরিকল্পনায় কিছু গুণগত পরিবর্তন আনতে হয়। আশা করা হচ্ছে অতি দ্রুত নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে।
ড্রীমল্যান্ড লিঃ এর সকল কর্মচারী প্রত্যেকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ-নির্দেশ পালন করে। আবার উপর থেকে শুরু করে নীচ পর্যন্ত প্রত্যেক বিভাগ, উপ-বিভাগ ও ব্যক্তির কাজ এমনভাবে একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত, যাতে কোনো কর্মীই এর বাইরে থাকে না। ফলে আদেশ দান ও বাস্তবায়ন সহজ হয় এবং দলীয় প্রচেষ্টা জোরদার হয় ।
ABC লিঃ এর প্রধান নির্বাহী বিভাগীয় প্রধানদের সাথে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারস্পরিক মত বিনিময় করেন। তারপর প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। আবার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থাপক মিঃ সাকিব উৎপাদন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সকলেই আন্তরিক থাকে। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই অর্জিত হয়।
ফোর স্টার কোম্পানির প্রকৌশলী জনাব রোহানের উদ্ভাবিত পণ্যের ডিজাইন গ্রাহকদের নিকট ব্যাপক আকর্ষণ সৃষ্টি করে। ফলে বাজারে পণ্যের চাহিদা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য কোম্পানি জনাব রোহানকে একটি দামী গাড়ী উপহার দেয়। পাশাপাশি বৈদেশিক বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে শ্রমিক-কর্মীদের ভালো কাজের প্রশংসাসহ সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা হয় এবং উত্তম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে তারা কাজের প্রতি খুবই আন্তরিক।
RB লিঃ এর ক্রয় ব্যবস্থাপক মি. X কাঁচামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যবস্থাপক মি. Y এর সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের এম.ডি মাসে একবার দূর-দূরান্তের অফিসে কর্মরত কর্মীদের সাথে ইলেকট্রনিক কৌশল ব্যবহার করে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এ ধরনের যোগাযোগ ব্যবসায়কে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।
জি.এম মি. হিয়াম বার্ষিক সভায় পরবর্তী প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য নির্ধারণ করলেন। উক্ত লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রত্যেক বিভাগ নিজ নিজ পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ শুরু করলো। প্রতি মাসে একবার সকল বিভাগ একত্রিত হয়ে কাজের অগ্রগতিসহ সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে । ফলে দলীয় সমঝোতা ও পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপিত হয়। তাই মি. হিয়াম লক্ষ্যার্জনে আশাবাদী।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস রোদশী উৎপাদন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এমনভাবে আরোপ করেন যা সহজেই বোঝা যায় ও প্রয়োগ করা যায় । উল্লেখ্য বছরের শুরুতে তিনি ৩০% উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেন। প্রথম দুই মাসে উৎপাদন আদর্শমানের চেয়ে কম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তী মাসসমূহে , ৩% এবং সর্বশেষ পর্যন্ত উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মিস রোদশী খুবই খুশী।
একটা বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের এম.ডি মিঃ আফতাব অধস্তনদের আদেশদানের ক্ষমতা ও জবাবদিহিতা নির্দিষ্ট করে দেয়। ফলে সংগঠনের ভুল বুঝাবুঝি ও জটিলতার সৃষ্টি হয় না। তিনি লক্ষ্য করেন প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত ১০ ধরনের পণ্যের মধ্যে ৪টি পণ্যের বাজার ভালো। তাই তিনি সকল পণ্যের বাজার ভালো করার জন্য সংগঠন কাঠামোয় পরিবর্তন আনেন, যেখানে দু'ধরনের ব্যবস্থাপক একই সঙ্গে কাজ করেন। একজন কার্যিক ব্যবস্থাপক এবং অন্যজন প্রকল্প ব্যবস্থাপক। উভয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কার্য সম্পাদন করেন। লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার ব্যাপারে সবাই আশাবাদী।
অতীত ও বর্তমান তথ্য পর্যালোচনা করে মি. পাভেল উপলব্ধি করলেন এ বছর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং এয়ারকুলার মেশিনের চাহিদা বাড়বে। তাই তিনি এসি মেশিনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মীদের সাথে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। লক্ষ্যার্জনে তিনি কর্মীদের সাথে এমনভাবে মিশলেন যাতে তারা কার্যসম্পাদনে প্রবলভাবে উৎসাহিত হয় । ফলে লক্ষ্যার্জন সফল হয় ।