মি. আহনাফ বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করার পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আলফা লিমিটেড এর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা অনুসারে তার সহকারীদের নির্দেশনা দেন এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন।
জনাব শওকত একজন সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকায় তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও নিজ জন্মস্থানের জন্য রয়েছে ভালবাসা। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে তিনি এলাকায় গড়াই নদীর ধারে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা বিনামূল্যে এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। বিদ্যালয়টির কার্যক্রম ২০২০ সালে শুরু করার কথা থাকলেও বর্ষার মৌসুমে স্কুলের জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে । যায়। পরবর্তীতে জনাব শওকত স্কুলের জায়গা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে তিনি নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মি. রাহিদ একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে ২০২০ সালের জন্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিগত বছরের তুলনায় উচ্চাভিলাসী চিন্তা করে ৪০% বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের শুরুতে বৈশ্বিক মহামারীর কারণে কিছু দক্ষ শ্রমিক চাকুরী ছেড়ে চলে যায় এবং সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত কাঁচামালের যোগান দিতে ব্যর্থ হয়। যার কারণে উৎপাদনের কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি লোকশানের সম্মুখীন হয়।
মি. আরাফ একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী । তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাজকে এমনভাবে ভাগ করলেন যেন অধস্তন কর্মীরা একজন নির্বাহীর অধীনেই কাজ করতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে কাজের মান বৃদ্ধির জন্য তিন প্রতিষ্ঠানটির সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগে একজন করে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিলেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শৃংখলা এবং কাজের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ABC লিমিটেড' একটি বৃহদায়তন উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক জনাব রফিক আহমেদ ৫০ জন কর্মী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে ১০০০ জন প্রার্থী আবেদন করে । আবেদনপত্রগুলো বাছাই করে পরবর্তীতে তিনি ৮১৫ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য চিঠি ইস্যু করে। এতে বিপুল সংখ্যক কর্মীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
ইউনিক লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. রাইসুল। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তর করে অভিজ্ঞ তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যসম্পাদনে তাদের দক্ষ ও, যোগ্য করে গড়ে তোলেন। এতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মনোবল ও মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটে।
মি সিয়াম আহমেদ একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার কর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন যা পালনে কর্মীরা বাধ্য থাকে। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেন না।এর ফলে প্রশাসনের প্রতি কর্মীদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে ।
ওসান লিঃ এর ব্যবস্থাপক জনাব ইমন অধস্তন কর্মীদের সংগে পরামর্শক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে কাজ করে। তবে তিনি আবেগের বশে কোনো কাজ না করে প্রতিষ্ঠান ও কর্মীর স্বার্থকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। সাম্প্রতিককালে উৎপাদন বিভাগে নতুন স্বয়ংক্রিয় মেশিন স্থাপন করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি শংকিত থাকলেও তার সুযোগ্য নেতৃত্বে সকল কর্মীরা সিদ্ধান্তটিকে সহজভাবে গ্রহণ করেছে।
‘সাদিতা টেক্সটাইল লিমিটেড' এর স্বত্বাধিকারী জনাব নাবিলা ৮ দিনের মধ্যে ১০০০পিস থ্রীপিচ সরবরাহ করবেন বলে “সুমনা ফ্যাশন হাউজের সাথে চুক্তি করেন। উৎপাদন শুরু থেকে ৪ দিনে দেখা গেল মাত্র ৪৫০ পিস থ্রীপিচ তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি যথাসময়ে থ্রীপিচ সরবরাহ করার জন্য নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করলেন।