গ্লোরী ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ মার্কেট নেতা হিসাবে বাজারে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানির “পরিচালক পর্ষদ" ঔষধ শিল্পে আধুনিক মাত্রা যোগ করতে উৎপাদন, ক্রয় ও বিক্রয় বিভাগে কর্মরত ব্যবস্থাপকগণকে নিজ নিজ বিভাগের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করা এবং কর্মীদেরকে সঠিকভাবে নিয়োজিত করার নির্দেশ প্রদান করে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি বিদেশেও ঔষধ রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করেছে ।
মিসেস ফারজানা একজন সফল উদ্যোক্তা। ব্যবসায়ের শুরুতে কর্মীদের তিনি নিজে তদারকি করেন এবং বিচ্যুতি অনুযায়ী সংশোধনীর ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ব্যবসায়ের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় তিনি সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন বিকল্প কর্মপন্থা চিহ্নিত করেন। অতঃপর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বোত্তম করণীয় ঠিক করে সে অনুযায়ী উপায়- উপকরণ সংগ্রহ করেন।
জনাব মাসুদ রেজা ‘ভিক্টর এন্ড কোম্পানি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি তার অধীনস্থদের সাথে কোনো প্রকার আলাপ- আলোচনা না করেই নির্দেশনা প্রদান করেন। অবশ্য তিনি আন্তরিক ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে কাজ আদায় করেন। অন্যদিকে জনাব জুবায়ের তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন কিন্তু উক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেন না, বরং নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন।
একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কর্মীর মাধ্যমে বাড়িতে যেয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ৫০০০ পিছ সিলিন্ডার বিক্রির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। ১৫ দিন পর দেখা গেল যে, মাত্র ১৫০০ পিছ সিলিন্ডার বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত করে দেখে যে, দুইজন কর্মীর দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা করায় বিক্রি কম হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সেই কর্মীদের ছাঁটাই করে নতুন দুইজন কর্মী নিয়োগ দেয় ।