দরিদ্র বাবা-মা তাদের প্রথম সন্তানের নাম রাখেন সাজাহান। তাদের স্বপ্ন সাজাহান অনেক বড় হবে। কিন্তু আর্থিক অভাব ও শিক্ষা না থাকায় সাজাহান কিশোর বয়সেই কাজে নেমে পড়ে। পাশের গ্রামের কৃপণ ও ধনী আলম সাহেবের বাড়িতে সাজাহান কাজের লোক হিসেবে নিযুক্ত হয়। প্রতিদিন ঘরে ও বাইরে সমান পরিশ্রম করে সাজাহান। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী তাঁর ভাগ্যে খাবার জোটে না। একদিন বাজারের টাকা বাঁচিয়ে সাজাহান লাড্ডু কিনে খায়। কিন্তু টাকার হিসেব দিতে না পারায় আলম সাহেব তাকে নির্দয়ভাবে মারে। মনে ক্ষোভ নিয়েও সাজাহান সব সহ্য করে, কারণ সে জানে, সে গরীব-অসহায়।
মোবারক নিঃসন্তান দরিদ্র কৃষক। সে শীতের কোনো এক সন্ধ্যায় কাজ শেষে ব্যস্তভাবে বাড়ি ফিরছিলো। হঠাৎ বড় আম বাগানের ভিতর থেকে এক শিশুর কান্নার শব্দ তার কানে এলো। সে একটু এগিয়ে দেখলো, এক রুগ্ন শিশু শুকনো পাতার ভিতর নড়ছে। শিশুটিকে মোবারক বাড়ি নিয়ে এলো এবং স্ত্রী ফরিদাকে ডেকে বললো, “এই নাও, আমাদের শূন্য ঘরের আনন্দ।” দুজনে মিলে শিশুটির নাম রাখল রহমত। শিশুটিকে মোবারক ও ফরিদা সন্তান স্নেহে লালন-পালন করতে লাগলো।
‘বিবর্তন' সংস্কৃতিকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দুটো উপদেশ দিলেন—
i. উচ্চাভিলাষ ও বিলাসিতার কারণে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কাজ করো না। তা তোমাদের বিপদে ফেলবে এবং আজীবন তোমাকে অসুখী করবে।
ii. সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারলে পরিণামে দুঃখ পেতে হয়।
কাজীপুর গ্রাম থেকে শহর অনেকটা দূরে অবস্থিত। প্রকৃতি উদার হাতে এ অঞ্চলের মানুষকে শস্যে ও সম্পদে সুখী রেখেছে। এ অঞ্চলের মানুষের দিন কাটে ফসলের ক্ষেতে, গৃহস্থালি কাজে, হাসি-উৎসবে ও প্রচলিত বিশ্বাসে। এ গ্রামের মাতব্বর ফরমান আলীর বাড়িতে এক পড়ন্ত বিকেলে মতলব মিয়া নামে অচেনা এক দরবেশের আগমন। দুর্গম পথ পার হয়ে আসা মতলব মিয়ার চোখে-মুখে-আশঙ্কা, উদ্বেগ ও স্বপ্নের বিচিত্র আভাস। সবার সামনে সে নিজেকে পীর হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা রকম অলৌকিক কর্মকাণ্ডের গল্প বলতে শুরু করে ।
দিনমজুর আবুল মিয়ার একমাত্র মেয়ে শাহানা। এখন সে বারো বছরের কিশোরী। চেহারাটা একটু রোগা বলে বয়সটা তার ঠিক কতো তা বোঝা যায় না। শাহানা খুব চঞ্চল ও স্বাধীনচেতা। সে উচ্ছল ও হাস্যমুখর। হঠাৎ রইচ ঘটক পাশের গ্রামের রহম আলী নামে এক মধ্যবয়সী পাত্রের প্রস্তাব নিয়ে আসে। শাহানার পিতা অভাবের কথা ভেবে শাহানার বিয়ের এ প্রস্তাবে রাজি হয়। শাহানার দু'চোখে বিস্ময় ও ক্ষোভ। শাহানার স্বপ্নগুলো, রহম আলীর আচরণে ও রূঢ়তায় বিচূর্ণ হয়ে যায় ।
মেঘনাদবধ কাব্যে'র দেশপ্রেমিক রাক্ষসরাজ রাবণ দেশে শত্ৰুবেষ্টিত ও অবরুদ্ধ। রামচন্দ্র ও তার বানর সৈন্য লঙ্কা নগরীকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। রাবণের অনুজ বিভীষণ শত্রুসেনাদের সাথে যোগ দিয়ে রাবণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে । চারিদিকে অবিশ্বাস, প্রতারণা ও বিপর্যয়ের হাতছানি। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বীর পুত্রদের মৃত্যুর খবর আসে তাঁর কানে। বিষন্ন ও দ্রোহক্ষুব্ধ রাবণ শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধসাজ নিয়ে রণক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। দেশের জন্য এ সংগ্রাম প্রকৃত বীরত্বের মহিমায় উজ্জ্বল।