রফিকের দেশে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার তার উপর অর্পিত কার্যাবলি পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংবিধানের প্রাধান্য বিদ্যমান; দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রদেশসমূহের প্রতিনিধিত্ব করে।
আবির যে রাষ্ট্রের বাসিন্দা সেটি ১৯৪৭ সালে আলাদা দু'টি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত হয়। রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের কায়েমী স্বার্থবাদী মহল পূর্বাঞ্চলের প্রতি ক্রমাগত শোষণ, অবহেলা ও বৈষম্যমূলক নীতির আশ্রয় নেয়। যার ফলে পূর্বাঞ্চলের মানুষের মনে ক্রমাগত অসন্তোষের জন্ম নেয়। এ প্রেক্ষাপটে পূর্বাঞ্চলের এক জনপ্রিয় নেতা একটি দাবি পেশ করেন এবং ঘোষণা করেন উক্ত দাবিই হচ্ছে পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ও মুক্তি সনদ।
মি. আমিন বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পদে কর্মরত। প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে যোগ্য নাগরিকদের নিয়োগের সার্বিক কাজ তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। তাঁর বন্ধু মি. আতিক তার পুত্রের জন্য একটি চাকরির সুপারিশ করে। মি, আমিন তাঁর বন্ধুকে জানিয়ে দেন তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সততার সাথে উপযুক্ত ও দক্ষ লোকের নিয়োগ প্রদান করাই এ প্রতিষ্ঠানের কাজ।
রফিক সাহেব গ্রামকেন্দ্রিক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনিসহ ঐ প্রতিষ্ঠান আরো কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত। দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনের জন্য একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীও নিযুক্ত। রফিক সাহেব অন্যান্য জন প্রতিনিধিদের নিয়ে তাঁর নির্বাচনি এলাকার সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চান। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি কিছু সীমাবদ্ধতাও অনুভব করেন।
দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ মিটাতে পারেনি। অবশেষে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমুদ্রসীমা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে যায়। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে। তাতে বাংলাদেশের অধিকার অর্জিত হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
রাফিন কানে শোনে না। তাই তাকে তিন বছর বয়সেই একটি বিশেষ স্কুলে ভর্তি করা হয়। স্কুলের শিক্ষকরা লক্ষ্য করলেন যে, রাফিন ছবি আঁকায় খুবই আগ্রহী। দুই বছরের মধ্যেই সে দক্ষ অংকন শিল্পী হয়ে ওঠে। সুন্দর ছবি আঁকার জন্য সে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে পুরস্কারও লাভ করে। রাফিনের শিক্ষকরা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে। তাকে একটি আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেন।