এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস সমূহের ইলকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট সমূহের নাম জানবে, পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করতে এবং এটি পারফর্ম করতে পারবে।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক (Symmetric) ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম ।
সার্কিট ফেজ লাইন (L) অর্থাৎ ফেজ এর সাথে এটি সংযুক্ত হয়। ফেজ সবসময় হাতের ডানে থাকে। এখান থেকে দু'টি লাইন বের হয়েছে, একটি ওয়াটার কুলিং লাইনের সাথে সংযুক্ত অপরটি ওয়াটার হিটিং লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
হিটিং লাইনে একটি সুইচ থাকে যেটা অন করলে বা সংযোগ দিলে লাল বাতি জ্বলবে। এই লাইন ৮৮°C সেলসিয়াস থার্মোস্ট্যাট এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং অপর অংশ হিটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। হিটার অবশ্যই আর্থিং করা থাকে। হিটার থেকে পুনরায় ৯৫° সেলসিয়াস থার্মোস্ট্যাটে সংযুক্ত হয়ে নিউটাল (N) লাইনের সাথে সংযুক্ত হয়। হিটারের সাথে প্যারালালে দু'টি ডায়োড ও একটি রেজিস্টেন্স থাকে। পানি গরমের সময় ক্রিস্টাল ডায়োড লাল রং দেখায়।
কুলিং সুইচের লাইন সাথে সংযুক্ত হয় যা অন করলে ইন্ডিকেটর সবুজ রং ধারণ করে। সুইচের অপর মাথা থার্মোস্ট্যাটের সাথে সংযুক্ত হয়ে ওভার লোড রিলে কম্প্রেসার মোটরে সংযুক্ত হয়ে নিউটালে (N) যায়। ওয়াটার হিটারের মত এখানেও ইন্ডিকেটর সার্কিট আছে। এই সার্কিট কম্প্রেসর মটরের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত থাকে অর্থাৎ থার্মোস্ট্যাটের এক প্রাপ্ত রেজিস্ট্যান্স ডায়োড হয়ে নিউটালে সংযুক্ত হয়।
সিস্টেমে E বা আর্থিং অংশ বিদ্যুতের আর্থিং লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হয়। কারণ সিস্টেমে কোনো লিকেজ কারেন্ট থাকলে আর্থিং এর জন্য এর কোন কার্যকরী ক্ষমতা থাকেনা।
এটি নির্বাচন করে মেরামতের সাপেক্ষে পুনরার সংযোজন করতে হবে।
মানুষের আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় । তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মূল কাজ হল কক্ষে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করলে তাপমাত্রা এমনিতে নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়। আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য আর্দ্রতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। গ্রীষ্মকালে বাতাসের আর্দ্রতা ৫০% হতে ৬৮% এবং শীতকালে ৪০% হতে ৫৫% রাখা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আর্দ্রতা হ্রাস করণ ঃ বায়ুর তাপমাত্রার সাথে আর্দ্রতা যথেষ্ট সম্পর্ক যুক্ত। গ্রীষ্মকালে বায়ুতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তাই ঐ সময় বায়ুর আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা উভয়ই কমানোর প্রয়োজন হয়। বায়ুর আর্দ্রতার কমানোর পদ্ধতিকে ডি-ডিউমিডিফিকেশন এবং যার সাহায্যে আর্দ্রতা কমানো হয়, তাকে ডি- হিউমিডিফায়ার বলে।
সাধারণত দু'টি উপারে আর্দ্রতা কমানো হয়-
১। রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির মাধ্যমে
৩। রাসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে
ডি-হিউমিডিফায়ার দুই প্রকার -
১। আবাসিক ডি-হিউমিডিফায়ার
৩। বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিকারার
আবাসিক ডি-হিউমিডিফারার
কোন আবদ্ধকক্ষে বাতাসে অবস্থিত শুধু জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হিমায়ন যন্ত্রকে ডি-হিউমিডিফায়ার বলা হয়। হিমায়ন যন্ত্রের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ছোট যন্ত্র। যা ঘরের মেঝেতে সুবিধা মত জায়গায় বসানো বা স্থাপন করা হয়। এয়ার কুলারের মত এতেও কিল্টার ব্যবহৃত হয়। যার জন্য কুলিং কয়েল ও কন্ডেলার ফিলে ময়লা জমতে পারে না।
এ ধরনের ইউনিটের ক্ষমতা সাধারণত ১/৮ হতে ১/৩ Hp পর্যন্ত হয়। ডি-হিউমিডিফায়ারের কার্য পদ্ধতি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ একটি আবাসিক রেফ্রিজারেটরের মতই। এতে কোন থার্মোস্ট্যাট ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত সিন্ড টাইপ বা হারমেটিক কম্প্রেসর-মোটর, এয়ার কুল্ড কন্ডেন্সার, ড্রায়ার, ক্যাপিলারি টিউব, কুলিং কয়েল এবং ফ্যানের সমন্বয়ে গঠিত। ডি- হিউমিডিফায়ারের সমস্ত অংশগুলো একটি আয়তাকার খাড়া কেসিং দিয়ে উপরের দিকে ও পার্শ্বের দুই দিকে ঢাকা থাকে এবং সামনের ও পেছনের দিকে বায়ু প্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়। কুলিং কয়েলের সাথে একটি এয়ার ফিল্টার সংযুক্ত থাকে। এতে কুলিং কয়েল কন্ডেন্সার ধুলাবালি থেকে রক্ষা পায়। ইউনিট স্থানান্তর করার জন্য কেসিং-এর তলদেশ চারটি গোলাকার ছোট চাকা ব্যবহার করা হয়। কুলিং কয়েলের নিচে পানি জমার জন্য পাত্র থাকে যা থেকে মাঝে মাঝে পানি বের করে নিতে হয়।
ইউনিট চালু করলে কম্প্রেসর মোটর এবং ফ্যান মোটর উভয় এক সাথে চলতে থাকে, ফলে কুলিং কয়েল খুব ঠাণ্ডা হয়। কক্ষের বাতার ফ্যানের মাধ্যমে কুলিং কয়েল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় অধিক ঠাণ্ডা হয় এতে বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয়ে থাকে। সেই পানি বের করে দেয়া হয়। অপরদিকে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত বাতাস কক্ষে কন্ডেন্সারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও RH কমে যায়। এভাবে হিমায়ন প্রক্রিয়ায় ডি-হিউমিডিফায়ার কক্ষে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ডি-হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার :
ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত মূল্যবান ঔষধপত্র, রাসায়নিক পদার্থ, ইলেকট্রনিক্স ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, কম্পিউটার ল্যাব, সেনসিটিভ ইকুইপমেন্ট এবং সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সংরক্ষণাগারে ব্যবহার করা হয়। তদুপরি মূল্যবান মেশিনারী বা যন্ত্রপাতি ও শুষ্ক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাসা বাড়ির আর্দ্রতা কমানোর জন্যও ব্যবহার করা যায় ।
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার মিল কারখানা বা অফিস বিল্ডিং এর বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ডি-হিউমিডিফায়ার বেশি ক্ষমতার হয়ে থাকে। প্লান্টটি একটি কক্ষে স্থপন করে সাপ্লাই এবং ফেরত ডাক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কক্ষে বাতাস সঞ্চালন করা হয়। চিত্র ২.৫ এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ারের বাতাস সঞ্চালন ব্যবস্থা দেখানো হয়েছে। ডাক্টের মধ্যে প্রবাহিত বাতাস কুলিং কয়েল বা ইভাপোরেটরের সংস্পর্শে আসলে তা ঠাণ্ডা হয়, ফলে বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয় এবং পানির পাত্রে জমা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণ হয়। অপরদিকে পাত্রে জমাকৃত পানি ফ্লোট ভাল্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেন পাইপের মাধ্যমে অপসারণ হয় ।
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ারের বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরূপ-
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার স্থাপন
মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে ডিহিউমিডিফায়ার পরীক্ষা
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম সম্বন্ধে আলোচনা ।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের পারফরমেন্স (Performance of Electric Components)
উক্ত সার্কিটের সংযোগে প্রধান ভূমিকায় আছে টাইমার, তাই মোটা লাইন দিয়ে সার্কিট দেখানো হয়েছে। এটা সরাসরি ফেজ থেকে টাইমার মোটর কয়েল হয়ে নিউট্রালে যায়। টাইমারের দু'টি আউট গোয়িং পয়েন্ট ৩ ও ৪। ৩ নং এ সংযুক্ত থাকে ডি-ফ্রষ্টিং হিটার এবং এর সিরিজে থাকে থারমার কুলিং ওভার লোড। কুলিং ওভার লোড কম তাপমাত্রায় কাজ করে। ডিফ্রষ্টিং হিটার চালু থাকলে ইভাপরেটর ফ্যান সহ সম্পূর্ণ সিষ্টেম বন্ধ থাকে। ৪ নং পয়েন্টের সংযোগ পুরো সিস্টেম পরিচালনা করে। এখানে থার্মোস্ট্যাট সুইচ, হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ ও কন্টাক কয়েল সিরিজে সংযুক্ত থাকে। হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ সেফটি ডিভাইস হিসেবে কাজ করে এবং থার্মোস্ট্যাট সুইচ সিষ্টেম অপারেটর হিসেবে কাজ করে। ম্যাগনেটিক কন্ট্রাকটর কম্প্রেসর পরিচালনায় সুইচ হিসেবে কাজ করে।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের তালিকা
টাইমার
টাইমার একটি মটর, এটা সবসময় চলতে থাকে ১, ২, ৩, ৪ নং কানেকশন পয়েন্ট আছে। এখানে ৩ নং ডিফ্রষ্ট হিটারের সাথে সংযুক্ত আর ৪ নং কম্প্রেসর। কম্প্রেসরের সাথে সংযুক্ত থার্মোস্ট্যাট, লো প্রেশার, সুইচ হাইপ্রেসার সুইচ, ম্যাগনেটিং কন্ডাক্টরের কয়েল থাকে।
টাইমার স্পেসিফিকেসন-
ডি-ফ্রস্ট হিটার
এটা টাইমারের ৩ নং পয়েন্টে সংযুক্ত থাকে। এটি মূলত ইলেকট্রিক হিটার । ইভাপরেটারে অতিরিক্ত বরফ জমলে ডি-ফ্রষ্টিং করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত বরফ বা ঠান্ডা নির্ধারণ করে কুলিং ওভারলোড প্রটেক্টর হিটারে সংযোগ দেয়।
ডিফ্রস্ট থার্মোস্ট্যাট
এর সাথে ইভাপোরেটর ফ্যান সিরিজের সংযুক্ত থাকে। ডি-ফ্রস্টিং এর সময় গরম বায়ু সর্বস্তরে যাতে না ছড়ায় এ জন্য ব্যবহৃত হয়।
কুলিং ওভারলোড
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বা সেটিং টেম্পারেচারের কম তাপমাত্রায় ডি- ফ্রস্টিং সিষ্টেম চালু করে।
ইভাপোরেটর
ঠান্ডা তাপমাত্রা সর্বত্র পৌছানোর জন্য ইভাপরেটরে ফ্যান ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ইভাপোরেটরের নিকটে থাকে এক্সপানশন ভালভ, থার্মোস্ট্যাট, ডোর সুইচ, ও কেবিনেট ল্যাম্প।
কন্ডেনসার
কম্প্রেসারের তাপ ও চাপ যুক্ত রেফ্রিজারেন্ট থেকে তাপ অপসারণ করে কন্ডেন্সার। তাপ অপসারণ করার জন্য কন্ডেনসার ফ্যান ব্যবহৃত হয়। তবে বড় আকারের সিষ্টেমের জন্য কুলিং টাওয়ার ব্যবহার করা হয়।
থার্মোস্ট্যাট
বোতল কুলারের কাঙ্খিত তাপমাত্রা পাওয়ার জন্য থার্মোস্ট্যাটে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সেট করা হয়।
পটেনশিয়াল রিলে
সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকসন মোটর চালুর জন্য পটেনশিয়াল রিলে প্রয়োজন হয়। সাধারণত পটেনশিয়াল চাপ বা বৈদ্যুতিক চাপে এটি কাজ করে। পটেনশিয়াল রিলেতে স্টার্টিং ও রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত করা যায়। গঠনের দিক থেকে এর সংযোগ পয়েন্ট ১,২,৫ নং হয়। ২ ও ৫ নং পয়েন্ট কয়েলের দু'টি মাথা ষ্টার্টিং ও কমনে সংযুক্ত হয় অর্থাৎ ২ নং পয়েন্ট স্টার্টিং কয়েলের মাথা, ৫ নং কমনের মাথায় যুক্ত হবে । ১ নং ষ্টার্টিং ও ২ নং রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত হয় এবং ক্যাপাসিটরের অপর দুই মাথা নিউট্রালে সংযুক্ত হয়। পটেনশিয়াল রিলে ক্রয় বা পরিবর্তনের (স্পেসিফিকেশনের) পিক আপ, ড্রপিং, এবং রেটিং ভোল্টেজ জানা দরকার ।
স্পেসিফিকেশন
এটা সাধারণত সাকশন লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। লো প্রেসার সুইচে ডিফারেন্টয়িাল এ্যাডজাস্টমেন্ট ও রেঞ্জ এ্যাডজাস্টমেন্ট নামে দুইটি এ্যাডজাস্টমেন্ট নব থাকে ।
হাই প্রেসার সুইচ অপসারণ করতে না পারলে ডিসচার্জ প্রেসার বেশি হয় এটি কম্প্রেসরকে বন্ধ করে এবং দূর্ঘটনার হাত থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। হাই প্রেসার সুইচ একবার বন্ধ হলে রিসেট করার দরকার হয়।
হাই প্রেসার সুইচের স্পেসিফিকেশন
এটি সাধারনত ডিসচার্জ লাইনে সংযুক্ত হয়।
রানিং ক্যাপাসিটর
এটা মটরকে চালাতে এবং কার্যকারি গতি ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মান ১.৫ থেকে ৬০ (MFD) পর্যন্ত হ।
স্পেসিফিকেসন
স্টাটিং ক্যাপাসিটর
এটি মটরকে শুধুমাত্র চালাতে সাহায্য করে । মোটর স্টার্ট হয়ে কার্যকারি গতি পাবার পর ৱিলে বা সেন্টিফিউগ্যাল সুইচ দিয়ে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সাধারণত রেফ্রিজারেটরে ৪০ - ৭০ (MFD) এবং এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ৮০-১০০ (MFD) হয়।
স্পেসিফিকেশন- ২০০ / ২৫০ MFD : 250 VAC + 550 HZ; TEMP -10"/85° C
এতে একটি মাত্র সিস্টেম থাকে কিন্তু অনেক গুলো কুলিং চেম্বার থাকে যেমন ডেইরি পন্য, আইস ক্রিম, সবজি কেবিন ইত্যাদি। এখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বারে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রা রাখা হয়। কোন কোন চেম্বারে আবার আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও দ্রব্যাদি বিক্রয় করার জন্য FIFO (First in First out ) নীতি অনুসরন করা হয়। ডিসপ্লে কেসে দীর্ঘ সময় যাবত দ্রব্যাদির গুনগত মান অক্ষুণ্য থাকে। বিধায় ভেন্ডর (Vendor) বা বিক্রেতা যেমন লাভবান হয় ক্রেতারাও টাটকা জিনিস পেয়ে খুশি হয়।
মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে ডিসপ্লে কেইস পরীক্ষা
পন্যের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য কমার্শিয়াল ডিসপ্লে কেইস এ বিভিন্ন ভাগ মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন কেসে থাকে। এই ক্ষেত্রে লিকুইড লাইন থেকে একাধিক কেস এর জন্য একাধিক কুলিং করেন বা ইভাপোরেটর থাকে। নিচে কয়েকটি কেসের নাম দেয়া হল ।
১। মুদিখানা গ্রোসারি (Grocery) মিডিয়াম তাপমাত্রার রাখা হয় । গরমও না, ঠান্ডা না তবে আর্দ্রতা কম রাখা হয়।
চিত্রে উল্লেখিত, কেসের অভ্যন্তর রেফ্রিজারেশন ফ্লো লাল রং লিকুইড লাইন এবং নীল রং ভ্যাপার লাইন । কেসের তাপমাত্রা অনুসারে লিকুইড লাইনে (TXV) থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ সংযুক্ত থাকে। এখানে 0°F, °F ও 68°F তিনটি কেবিনেটের তাপমাত্রা সেট করা আছে। সিস্টেমের সাকশন লাইনে কম্পাউন্ড প্রেশার গেজ (হাই ও লো উভয় প্রেসার পরিমাপ করা যায়) সংযুক্ত কর। | |
এই ক্ষেত্রে পন্যের নাম অনুসারে ডিসপ্লে কেইস এর কেবিনের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তা থার্মোমিটারে দেখি, ঠিক না থাকলে পরীক্ষা করে ত্রুটি নির্বাচন করি। | |
থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ দেখি । প্রয়োজনে সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি । প্রথমে লিকুইড লাইনের ভালভ বন্ধ করি কিছুক্ষন পর দেখব কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা ৩০o in Hg হয়, তখন সাকসন লাইনের ভালব বন্ধ করি, এইভাবে সিষ্টেম লক করা হয়। সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি। | |
ছাদের উপর কম্প্রেসর ও কন্ডেনসার রুম থাকে, একে মেশিন রুম বলে। মেশিন রুমে কম্প্রেসর, যাই, লো এবং ওয়েন প্রেশার কাট আউট থাকে । গ্যাসের চাপ দেখার জন্য হাই, লো প্রেসার গেজ সংযুক্ত থাকে। সাধারনত সাকসন প্রেসার ও ওয়েল প্রেসার একই থাকে। | |
কম্প্রেসর রুমে রেফ্রিজারেন্টের চাপ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ডাবল গেল মেনিফোড সংযুক্ত করা হয়। কম্পাউন্ড গেজ সাকশন লাইনে এবং হাই প্রেসার গেজ লিকুইড লাইনে সংযুক্ত করে সাকশন ও ডিসচার্য প্রেসার দেয়া হয়। | |
ইভাপোরেটর ফ্যান ঠিক আছে কিনা অ্যাতো মিটার দিয়ে দেখি। ইভাপোরেটর ফ্যান ডিসপ্লে কেইস এর মধ্যে থাকে। | |
অ্যাভো মিটার দিয়ে সিস্টেমের কম্প্রেসর মোটর পরীক্ষা করি। সহজ ভাবে সুইচিং করার জন্য ম্যাগনেটিক কন্ডাক্টরের সাথে কম্প্রেসার মোটরের টার্মিনাল সংযোগ করা হয়। অ্যাভো মিটার দিয়ে কন্ডাক্টরে সংযোগ পরীক্ষা করি। | |
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে হিউমিডিটেট (Humidistat) কাট আউট ব্যবহৃত হয়। আমরা জানি বাতাসে তাপমাত্রা কম থাকলে আর্দ্রতা কম থাকে। আর্দ্রতা বৃদ্ধি করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য হিউমিডিফায়ার (Humidifier) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ইলেকট্রনিক্স এ্যাপায়েল । | |
কেসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মনিটর দেখি। ঠিক থাকলে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ডিফ্রষ্ট টেম্পারেচার (Defrost Temp ) সেট করি। বিভিন্ন কেলের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ভিন্ন থাকে। |