Summary
জীবনানন্দ দাশ, যিনি রূপসী বাংলার, তিমির হননের ও ধূসরতার কবি হিসেবে পরিচিত, উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। তার কিছু প্রধান কাব্যগ্রন্থ হলো:
- ঝরাপালক (১৯২৭)
- ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬)
- বনলতা সেন (১৯৪২)
- মহাপৃথিবী (১৯৪৪)
- সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮)
- রূপসী বাংলা (১৯৫৭)
- বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)
তিনি তার প্রথম উপন্যাস 'মাল্যবান' (১৯৭৩) সহ অন্যান্য উপন্যাস যেমন 'সুতীর্থ', 'কল্যাণী', 'কারুবাসনা' রচনা করেন। প্রবন্ধের মধ্যে তার 'কবিতার কথা' উল্লেখযোগ্য। তার একটি প্রসিদ্ধ কবিতা হলো 'অদ্ভুত আঁধার এক'।
জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশাল। মৃত্যু: ২২ অক্টোবর ১৯৫৪, ট্রাম দুর্ঘটনায়। তার মা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন কবি, এবং বাবা বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি, যার কবিতাগুলোতে প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য প্রধান প্রেরণা। কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাব শুরুতে ছিল, কিন্তু পরে তিনি মৌলিক রূপে আবির্ভূত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতাকে 'চিত্ররূপময়' বলেছেন এবং বুদ্ধদেব বসু তাকে 'নির্জনতার কবি' উপাধি দিয়েছেন।
জীবনানন্দের মৃত্যু পূর্বে ২১টি উপন্যাস ও ১২৬টি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন, যা তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি। তাঁর 'বনলতা সেন' কাব্যগ্রন্থ ১৯৫৩ সালে পুরস্কৃত হয় এবং 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' ১৯৫৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
রূপসী বাংলার, তিমির হননের ও ধূসরতার কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো - ঝরাপালক (১৯২৭, এটি কবির ১ম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ) , ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), রূপসী বাংলা (১৯৫৭), বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১) ।
তাঁর ১ম উপন্যাস - মাল্যবান (১৯৭৩)। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস - সুতীর্থ, কল্যাণী, কারুবাসনা।
জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধ: কবিতার কথা।
তাঁর একটি আলোচিত কবিতা হলো - অদ্ভুত আঁধার এক।
জন্ম : ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশালে (আদি নিবাস বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে)
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, ট্রাম দুর্ঘটনায় ।
পিতা-মাতা: তাঁর মা কুসুমকুমারী দাশ একজন কবি। তার পিতা ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-
- জীবনানন্দ দাশ প্রধানত প্রকৃতির কবি। তাঁর কবিতার মৌলিক প্রেরণা - প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য ।
- জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।
- জীবনানন্দ দাশ কবিতায় যে জগৎ তৈরি করে তা -সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের।
- জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- চিত্ররূপময় কবিতা ।
- জীবনানন্দ দাশকে বুদ্ধদেব বসু 'নির্জনতার কবি' বলে আখ্যায়িত করেছেন।
- অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁকে ‘শুদ্ধতম কবি’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন
- জীবনানন্দ দাশের উপর গবেষণা করেন- ক্লিনটন বি-সীলি ।
- তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে- উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্প, রঙের ব্যবহার।
- ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে অনুপ্রাণিত করে- তাঁর নিসর্গ বিষয়ক কবিতাগুলো।
- জীবনানন্দ দাশ এর ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ নামক কবিতায় ব্যবহৃত ‘শঙ্খমালা’ নামক নারী চরিত্রটি হলো - রোমান্টিক কবি কল্পনা।
==> মৃত্যুর পূর্বে তিনি ২১টি উপন্যাস এবং ১২৬টি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন যার একটিও তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি।
==> জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত (১৯৫৩) হয়।
==> ১৯৫৫ সালে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটি ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
ঝরাপালক
বনফুল
পূরবী
শ্যামলী
মহাপৃথিবী
উত্তর ফাল্গুনী
ঝরাপালক
বনলতা সেন