মাদকাশক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাটি সবচেয়ে ভালো?
মাদকাসক্তি হলো ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর এমন একটি মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা জীবিত ব্যক্তি ও তার সেবনকৃত মাদকের পারস্পরিক ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। যে দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঐ দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টি, পাশাপাশি দ্রব্যটি গ্রহণের উদগ্র আকাঙ্খা ক্রমশই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, এমন দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে। মাদকাসক্তি বলতে মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি বা নেশাকে বোঝায়। সিপারেট, বিড়ি, তামাক, চুট, মদ, গাঁজা, চরস, আফিম, মারিজুয়ানা, হেরোইন, মরফিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি মাদকদ্রব্য। এ এক আংকর নেশা। এই নেশার আসর হলে সহজে কেউ পরিত্রাণ পায় না। আমাদের শরীরের নিজৰ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে শরীরে কোনো রোগজীবাণু প্রবেশ করলে সহজে শরীরের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু এমন কিছু ক্ষতিকর ভাইরাস আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। এইচআইভি তেমনই একটি ভাইরাস। এইচআইভি ভাইরাস রক্ত, বীর্য, যোনিরস, বুকের দুধ প্রভৃতির মাধ্যমে অন্যের দেহে সংক্রমিত হয়। কোনো মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, ক্ষণিক চিকিৎসার সে সুস্থ হয়ে উঠে না। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তির অবস্থাকে বা রোগকে এইডস বলে।
এ অধ্যায় শেষে আমরা