উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও

তেলিয়াগাহী সমাজের ধনী ব্যক্তিদের ছেলেমেয়েদের ১৮ বছর পর্যন্ত লেখাপড়া করতে হতো। কারিগর ও কৃষকদের ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষা পেত এবং দাসদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয় যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল । মেয়েরা কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারত না।

ডেলিয়াগাহী সমাজের মধ্যে নিচের কোন সত্যতার শিক্ষাব্যবস্থার রীতিনীতি ফুটে উঠেছে? 

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

আদিম যুগের মানুষ কৃষিকাজ জানত না। বনে বনে ঘুরে ফলমূল সংগ্রহ করত। তা-ই ছিল তাদের খাদ্য । এরপর মানুষ পাথর ভেঙে ঘষে ঘষে ধারালো অস্ত্র তৈরি করতে শেখে। সে সময় পাথরই ছিল তাদের একমাত্র হাতিয়ার । সে কারণে এ যুগকে পাথরের যুগ বলা হতো। পাথর যুগের প্রথম পর্যায়কে বলা হতো পুরনো পাথরের যুগ বা পুরোপলীয় যুগ । এ যুগে মানুষ পাথরের অস্ত্র দিয়ে দলবদ্ধভাবে পশু শিকার করত । এরা আগুনের ব্যবহারও জানত । পুরনো পাথরের যুগ শেষ হয় মানুষের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটিয়ে কৃষিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে । এ যুগকে বলা হয় নতুন পাথরের যুগ বা নবোপলীয় যুগ। কৃষির প্রয়োজনে এ যুগে মানুষ নদীর তীরে বসবাস শুরু করে । ঘর-বাড়ি নির্মাণ করতে শেখে । এভাবেই মানবসভ্যতার শুরু। এই অধ্যায়ে কীভাবে মানুষ ধাপে ধাপে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তারই সত্য কাহিনি, যাকে আমরা বলি ইতিহাস— সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

এই অধ্যায় শেষে আমরা -

♦ প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারা বর্ণনা করতে পারব;

♦ নীল নদের অবদান উল্লেখপূর্বক প্রাচীন মিশরের রাষ্ট্র ও সমাজের বর্ণনা করতে পারব; বিশ্বসভ্যতা বিকাশে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অবদানসমূহ মূল্যায়ন করতে পারব;

♦ সিন্ধুসভ্যতা আবিষ্কারের কাহিনি ও ভৌগোলিক অবস্থান জানতে পারব;

♦ সিন্ধুসভ্যতার রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা বর্ণনা করতে পারব;

♦ সভ্যতার বিকাশে সিন্ধুসভ্যতার নগর পরিকল্পনা, শিল্পকলা ও ভাস্কর্যের বর্ণনা করতে পারব;

♦ ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়কালের বর্ণনাপূর্বক গ্রিক সভ্যতার উদ্ভবের পটভূমি বর্ণনা করতে পারব;

♦ নগররাষ্ট্রের ধারণা প্রদানপূর্বক গণতান্ত্রিক নগররাষ্ট্র সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারব;

♦ বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতিতে গ্রিকসভ্যতার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞানের অবদান বর্ণনা করতে পারব;

♦ ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়কাল উল্লেখপূর্বক প্রাচীন রোমান সভ্যতা বর্ণনা করতে পারব;

♦ রোম নগরী ও রোমান শাসনের বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারব;

♦ শিক্ষা, সাহিত্য ও লিখন পদ্ধতির বিকাশে প্রাচীন রোমান সভ্যতার অবদান বিশ্লেষণ করতে পারব; সভ্যতার বিকাশে প্রাচীন রোমান সভ্যতার স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও বিজ্ঞানের অবদান বর্ণনা করতে পারব;

♦ বিশ্বসভ্যতায় প্রাচীন রোমান সভ্যতার ধর্ম, দর্শন ও আইনের প্রভাব আলোচনা করতে পারব;

♦ বিশ্বসভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভের মাধ্যমে প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব ।

Content added || updated By
Promotion