নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নের উত্তর দাও

বিল্লাল সাহেব শালবন বিহার দেখতে গিয়ে তার ভাগ্নে-ভগ্নীদের পণ্ডিত বিহার, ওয়ারী-বটেশ্বর, মহাস্থানগড়, রাজাদের খড়গের নির্মিত স্তূপের প্রসঙ্গ তুলে প্রাচীন বাংলার শিল্পের পরিচয় দেন।

বিল্লাল সাহেব যেসব নিদর্শনের পরিচয় দেন তাদের মধ্যে সম্প্রতিপাওয়া নিদর্শন কোনটি? 

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

মানুষ সামাজিক জীব । সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাই তার স্বভাব। এভাবে বাস করতে হলে চাই একে অন্যের সাথে সহযোগিতা। এ কারণেই মানুষের প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন সামাজিক অর্থনেতিক ও রাজনৈতিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। জীবন বাঁচাতে প্রধান তিনটি জিনিসের প্রথম প্রয়োজন- খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান। এর পরই মানুষ জীবনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে মনোযোগ দেয় শিক্ষা, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, আইন প্রভৃতির উন্নয়নে । সমাজ জীবন বিকাশে মানুষের এ সমস্ত কাজকর্মের একত্রিত রূপই হচ্ছে তার সংস্কৃতি । আর্যদের আগমনের পূর্বে বাংলার প্রাচীন মানুষ একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন গড়ে তুলেছিল । বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির এটাই সবচেয়ে প্রাচীন রূপ । পণ্ডিতদের মতে, এদের ভাষার নাম ছিল 'অস্ট্রিক । জাতি হিসেবে এদের বলা হতো নিষাদ । এরপর বাংলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাথে মিশে যায় 'আলপাইন' নামে এক জাতি । আর্যরা এদেশে আসার পূর্বে এরা মিলেমিশে বাংলার সংস্কৃতি গড়ে তোলে । বাঙালির জনপ্রকৃতিতে বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর ধারা এসে মিলিত হয়েছে। এটি তাদেরকে 'সংকর-জন' হিসেবে পরিচিত করেছে। বহু বছর বিচিত্র আদান-প্রদান ও মিশ্রণের ফলে বাঙালির একটি নিজস্ব দৈহিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়েছে।

এই অধ্যায় শেষে আমরা –

  • প্রাচীন বাংলার আর্থ-সামাজিক অবস্থার বর্ণনা করতে পারব;
  • প্রাচীন বাংলার শিল্পকলা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলার বর্ণনা করতে পারব;
  •  প্রাচীন বাংলার ভাষা ও সাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশ ব্যাখ্যা করতে পারব;
  •  প্রাচীন বাংলার ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান, উৎসব ও রীতি-নীতিতে জনগণের প্রদর্শিত মূল্যবোধ ও বিশ্বাস ব্যাখ্যা করতে পারব;
  •  প্রাচীন বাংলার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশসমূহের অবদান সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতে সক্ষম হব;
  •  ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে প্রাচীন বাংলার আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনের উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হব ।
Content added || updated By
Promotion