শোলধারা ও কাকজোড় নিয়ে বাণিয়াজুরী ইউনিয়ন। একটি নির্বাচনে কাকজোড়ের আলতাফ হোসেন নির্বাচিত হলে শোলধারার ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা আলতাফ হোসেনকে পরিষদে বসতে দেয় নি। বিধায় কাকজোড়বাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে কাকজোড়ের সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয়ে শোলধারা ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরাস্ত করে আলাদা ইউনিয়ন গঠন করে।
আলোচ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাটির মহানায়ক কে ছিলেন?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৭০ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পাকিস্তানের সামরিক শাসক যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দের ওপর একের পর এক নিপীড়নমূলক আচরণ করে, তখনই এদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে । যার পরিণতি ছিল ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান । এ অভ্যুত্থানে ২৫শে মার্চ আইয়ুব খান পদত্যাগ করলে তার উত্তরসূরি জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন । তিনি ঘোষণা করেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে । যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করলেও পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গড়িমসি করে । একপর্যায়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করে এবং শেষ পর্যায়ে এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর নির্দেশে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ শত্রুর দখলমুক্ত হয়।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-